ঢাকা     শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

শহিদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না: ডা. শফিকুর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
শহিদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না: ডা. শফিকুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে হাজার খানেকের মতো আমাদের কলিজার টুকরারা জীবন দিয়েছেন। এখানে কোনো দলমত নেই, এখানে কোনো ধর্ম নেই। এখানে সব ধর্মের মানুষ অংশ গ্রহণ করেছেন। সব ধর্মের মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন। শহিদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না।’

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহত ও শহিদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই শহিদরা জাতির সম্পদ। এই শহিদরা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই শহিদরা আজীবন জাতীয় বীর। আমরা তাদের সেই মর্যাদায় দেখতে চাই। যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের নিয়ে কোনো দল যেন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা না করি। এটা আমাদের সবার ত্যাগের ফসল। তাহলে সবার প্রতি সম্মান দেখানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের পাশে যাবেন। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা চেষ্টা করছি, যাদের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, তাদের একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। দুই-একটা দেশের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা যদি একটু এগিয়ে আসে, এই সমস্ত দুখী মানুষের বিরাট উপকার হবে। যারা এগিয়ে আসবেন, তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে আমরা কবুল করবো।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, তিনি কালিমা হিসেবে জাতির কপালে যেটা লিখে দিতে চেয়েছিলেন জাতি এটা তার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমন রাজনীতি করলেন, বললেন উন্নয়নের রাজপথে দেশকে উঠিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এমন রাজপথ তৈরি করলেন, গাড়িটা রাজপথ দিয়ে চালিয়ে আপনি যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো। সাড়ে ৮০০ বছর আগে লক্ষণ সেন গিয়েছিলো, তারপর আপনি গেলেন।’

বিগত সরকারের শাসন আমল নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ৬ মাস এ জাতির মুখে ছিলো তালা, হাতে ছিলো হ্যান্ডকাপ, পায়ে ছিলো বেড়ি। এ দেশের ১৫ কোটি মানুষ ছিলো মজলুম। রাস্তায় যে ভাই বা বোন ভিক্ষা করতেন তিনিও ছিলেন মজলুম। বিগত সরকারের সময় ভিক্ষুকদেরও চাঁদা দিতে হতো। প্রত্যেকটি মানুষই ছিলো জুলুমের শিকার।’

টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। বক্তব্য রাখেন- ধনবাড়ীর নিহত একরামুল হক সাজিদের বাবা জিয়াউল হক, সৈয়দা আক্তার, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ, শহর ছাত্র শিবিরি সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

কাওছার/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়