ঢাকা     শনিবার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩১

আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি

কুষ্টিয়ায় বিএনপির পদবঞ্চিতদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৬ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:০৬, ৬ নভেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ায় বিএনপির পদবঞ্চিতদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পদবঞ্চিত নেতারা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

নবগঠিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেছেন, ‘জেলার যে সব নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ-পদবি রয়েছে তাদের কেন্দ্র থেকে জেলা কমিটিতে রাখেনি।’

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জড়ো হন পদবঞ্চিত বিএনপি নেতারা। পরে তারা মিছিল নিয়ে মজমপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। 

আরো পড়ুন:

পদবঞ্চিত বিএনপি নেতারা জানান, কুষ্টিয়া জেলার তৃণমূলের ত্যাগী, নির্যাতিত, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে জেলা বিএনপির মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত এই পকেট কমিটি বিএনপির ত্যাগী নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তারা আরো জানান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমি, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ অনেক নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। যোগ্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করার দাবি জানান নেতারা। 

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, সদ্য ঘোষিত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতারা স্থান পায়নি। এ জন্য জেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ। তাই এই কমিটি বাতিলের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

সমাবেশে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

নবগঠিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেছেন, ‘জেলার যে সব নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ-পদবি রয়েছে তাদের কেন্দ্র থেকে জেলা কমিটিতে রাখেনি। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলার আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচিত করেছেন। সেখানে জেলা পর্যায়ের নেতাদের কিছু করার ছিল না।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে আহ্বায়ক কমিটির সচিব করা হয়।

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তার আগে ২০১৯ সালের ৮ মে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমিকে সভাপতি ও অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়