ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ৫ ১৪৩১

গোপালগঞ্জ কারাগারে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫  
গোপালগঞ্জ কারাগারে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ

প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান কারা অভ্যন্তরে এ বেকারির উদ্বোধন করেন

কারাগারে বন্দি করে রাখা হয় অপরাধীদের। অপরাধের ধরণ অনুযায়ী তাদের কারাবাসের সময় নির্ধারণ করে দেন আদালত। কারাগারে তাদের নিরাপদ রাখতে ও আলোর পথ দেখাতে নেওয়া হয়েছে কল্যাণমুখী উদ্যোগ। এরমধ্যে রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ, পাঠাগার স্থাপন, মাদকাশক্তি নিরাময়, অপরাধ প্রবণতা হ্রাস, খেলাধূলা, সবজি ও ফল চাষ, ভালো কাজে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মতো কর্মকাণ্ড।

অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের প্রত্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থাপিত ‘ইহসান বেকারিতে’ রুটি, বিস্কুট, কুকিজ ও কেকসহ বেকারি সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ফিতা কেটে কারা অভ্যন্তরে এ বেকারির উদ্বোধন করেন। এখানে বেকারিপণ্য তৈরিতে দক্ষ মহিদুল ইসলামের কাছে কারাবন্দিরা কাজ শিখছেন। উৎপাদিত পণ্য থেকে আয়ের অংশ পাবেন করাবন্দিরা।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার আল আমিন মোল্লা জানান, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি, প্রবেশন অফিসারের কার্যালয় গোপালগঞ্জের তত্ত্বাবধানে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এ বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আধুনিক ওভেন, মিক্সার মেসিনসহ প্রয়োজনীয় সব মেসিনে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, কুকিজসহ মানসম্পন্ন বেকারি সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য মানবদেহের জন্য নিরাপদ। খেতে মজাদার ও মুখরোচক।

আরো পড়ুন:

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, কারাবন্দিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির জন্য কারাগারে বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। কারাবন্দিরা বেকারি সামগ্রী উৎপাদনের কাজ শিখছেন। পাশাপাশি উৎপাদিত পাউরুটি, বিস্কুট, কুকিজ, কেক গোপালগঞ্জে বাজারজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখান থেকে আয়ের অংশ তারা পাবেন।

তিনি আরো জানান, কাজ শিখে কারাবন্দিরা দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা বেকারি স্থাপন বা বেকারিতে কাজ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এতে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। কারগার থেকে বের হয়ে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। পরিবার-পরিজনের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এ বেকারিতে উৎপাদিত পণ্যে ক্ষতিকারক উপকরণ ব্যবহার করা হয় না। মান নিয়ন্ত্রণ করে সবসময় গুণগত মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করা হয়। এ কারাগার বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য গোপালগঞ্জবাসীর কাছে দ্রুত সমাদৃত হবে। পাশাপাশি কারাবন্দিরা এখানে কাজ করে অর্থ উপার্জন এবং দক্ষতা আয়ত্ত করবেন। এতে কারাগারে বেকারি স্থাপনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে।
 

ঢাকা/বাদল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়