লঞ্চ থেকে উদ্ধার লাশের পরিচয় বের করলো পুলিশ, ওই নারী ২ শিশুর মা

ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি লঞ্চের কেবিন থেকে উদ্ধার লাশের পরিচয় বের করে ফেলেছে পুলিশ। নিহত নারী দুই সন্তানের মা লাবনী ফরিদপুরের ভাঙ্গার বাসিন্দা, থাকতেন ঢাকার পল্লবীতে। ঘাতকরা ওই নারীর ওড়না, ব‌্যাগসহ আলামত নিয়ে যাওয়ায় আঙুলের ছাপ ব‌্যবহার করে এবং পরে পরিবারের সদস‌্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।

নিহত নারীর পুরো নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী (২৯) । তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ মিয়া। দুই শিশু ছেলের মা লাবনীর স্বামী একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। বাবা আব্দুল লতিফ মিয়া ও মা মমতাজ চোধুরীর সঙ্গে ঢাকার পল্লবী-২ নম্বর এলাকার বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা এলাকায়।

এদিকে ঘটনায় বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর নৌ থানার ওসি আবদুল্লাহ-আল মামুনকে। অভিযুক্ত ঘাতককে শনাক্ত করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন।

তিনি আরও বলেন, ‘লাবনী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ‌্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে লাবনী সবার ছোট। চাকুরি প্রলোভনে গত সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলেন লাবনী। ওইদিন রাত ৯টা পর্যন্ত লাবনীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরদিন সোমবার সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।’

তবে ওই নারীর ওড়না ও ব্যাগসহ অন্যান্য আলামত অভিযুক্তরা নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আঙুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। সে অনুযায়ী তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। আর তখনই ওই নারীর পরিচয় পায় পুলিশ।

এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে ওই নারীর বাবা আব্দুল লতিফ এবং ভাই মোক্তার মিয়ার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।