সিঁদুর পরিয়ে প্রহসনের বিয়ে, ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক ও মা জেলে 

ধর্ষণের পর সিঁদুর পরিয়ে প্রহসনের বিয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক ও তার মা এখন জেল হাজতে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। 

আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম সরোয়ার জানান, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের  এইচএসসি প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রী (২০) ধর্ষণে ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন, নং-৫ (১৫.১০.২০)। 

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক পাকুরিতা গ্রামের হরেণ জয়ধরের ছেলে শুকদেব জয়ধরকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। এসময় এজাহারভুক্ত আসামি অভিযুক্ত শুকদেবের মা গৌরী জয়ধরকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বাদী ও আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী জানান, পাকুরিতা গ্রামের হরেণ জয়ধরের ছেলে শুকদেব জয়ধরের সঙ্গে দেড় বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুযোগে শুকদেব তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের সুযোগ নিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে শুকদেব।

এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী শুকদেবকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে শুকদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে না করে তার মাথার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে দাবি করে শুকদেব। পরে ধর্ষক শুকদেবকে বিয়ে করতে বললে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। 

গত সোমবার রাতে বিয়ের দাবিতে শুকদেবের বাড়িতে অবস্থান নেয় ধর্ষিতা প্রেমিকা। ধর্ষিতা বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই ধর্ষক প্রেমিক শুকদেব বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল। ধর্ষিতা বিয়ের দাবিতে ধর্ষক শুকদেবের ঘরে অবস্থান করে। 

এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান জানান, নির্যাতিতা দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ১২ অক্টোবর (সোমবার) ছাত্রীর মা তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে দরজা খোলা মাত্রই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা পাশ্ববর্তী বাড়ির বখাটে শুকদেব জয়ধর (২৫) বাদীর ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত মা ও তার ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ওই দিন ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ও জবানবন্দির জন‌্য আদালতে পাঠায় পুলিশ।