স্কুল ছাত্রী মিম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
স্কুল শিক্ষার্থী মিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কালাম
পটুয়াখালীর গলাচিপায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসানা আক্তার মিম (১৩) হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মারা যাওয়া মিমের প্রতিবেশী রানী বেগম (৩৫) ও কালাম (৪৫)। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে গোলখালী ইউনিয়নের মুশুরীকাঠী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় নিহত মিমের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা তিন জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১০টার দিকে অসৎ উদ্দেশ্যে মিমকে ২ হাজার টাকা দিয়ে প্রতিবেশী রানী বেগম তার বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় মিমের মা নানা বাড়িতে ছিলেন এবং তার বাবা ঘরেই ছিলেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরিবারের কাউকে কিছু না বলে রানী এর আগেও মিমকে তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। তারা দুইজন মিমকে হত্যা করে ডোবায় কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
মিমের বাবা হুমায়ুন সিকদার বলেন, ‘আমি শাররীকভাবে অনেকটা অসুস্থ। মিম প্রায়ই রানীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। রোববার রাত নয়টার দিকে বাড়িতে আমি আমার কক্ষে ও মিম তার কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলো। এসময় রানী এসে মিমকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর মিম আর বাড়িতে ফেরেনি।’
মিমের মা রেখা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একজন জেলে। ঘটনার দিন আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। রানী বেগম আগেও কয়েকবার আমাদের কাউকে কিছু না বলে মিমকে তার ঘরে নিয়ে গেছে। তারাই আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার বলেন, আসামিদের বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা বিজ্ঞ আদালতে তাদের রিমান্ড আবেদন করবো।’
নিখোঁজের দুই দিন পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে মুশুরীকাঠী এলাকার একটি ডোবা থেকে মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মিম একই এলাকার হুমায়ুন সিকদারের মেয়ে। সে সুহুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
আরো পড়ুন: ডোবায় মিললো শিক্ষার্থীর লাশ
ইমরান/ মাসুদ
আরো পড়ুন