ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরতাল দিতে চায় না বিএনপি

সেন্ট্রাল ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৪৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরতাল দিতে চায় না বিএনপি

আপাতত আর নতুন কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। বিএনপি বলছে, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির। এ সময়ের মধ্যে তাঁরা হরতাল দিতে চান না। আজ বৃহস্পতিবার ১৮ দলের ডাকা আধা বেলা হরতাল শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বিএনপি বিজয়ের মাসে হরতাল দিতে চায়  না; তবে সরকার বাধ্য করলে আবারও ‘কঠোর’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

রাজধানীতে বৃহস্পতিবার বিচ্ছিন্ন বোমাবাজি ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে আধা বেলা হরতাল পালিত হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে ১৮-দলীয় জোট রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করে। প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে—সরকারদলীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করবেন, আমরা নিশ্চয় ললিপপ চুষব না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপরাধমূলক বক্তব্য ও কার্যক্রমের জন্যও অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার। কারণ, তিনি গ্রেপ্তার না হলে তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাঁকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, দিনে দিনে বাড়িয়াছে বহু দেনা, শোধিতে হইবে ঋণ।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকারদলীয় মন্ত্রী ও নেতাদের প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের ঘাতকেরা বিশ্বেিজক হত্যা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং এই হত্যাকাণ্ডের অনুপ্রেরণাদাতা।’

হরতাল না দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার সমালোচনা করে তরিকুল বলেন, ‘আমরা হরতাল চাই না। হরতালে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। ব্যবসায়ীরাও চান না। কিন্তু আমরা বিস্মিত হই, আমাদের ১৩ দিনের হরতালে যেসব ব্যবসায়ী এতটা সোচ্চার, তাঁরা আওয়ামী লীগের ১৭৩ দিনের হরতালের সময় এত সোচ্চার ছিলেন না।’ দলীয় আনুগত্যের কারণেই ব্যবসায়ী নেতারা এখন বেশি সোচ্চার বলে তিনি অভিযোগ করেন। তরিকুল দাবি করেন, আজকের হরতালে সারা দেশে তিন শর বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকদের হামলায় ৮৪৭ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আর এই হরতালকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে মোট এক হাজার ৮০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তিন হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা নবীউল্লাহ, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল হক, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব হাসানসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়