‘মরে যাব, তবু দাবি আদায়ে পিছ পা হব না’
রাশিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আজ ১৫তম দিন।
ইউজিসি কর্তৃক বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে টানা আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক সভায় ইতিহাস বিভাগকে মৌখিকভাবে অনুমোদন দিলেও পরবর্তী ব্যাচ থেকে যেন আর কোনো শিক্ষার্থী এ বিভাগে ভর্তি হতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ইউজিসির এমন বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে টানা ১৫ দিন যাবত আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
লাগাতার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুক্তি মন্ডল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, তা মানা যায় না। আমরা ছাত্রসমাজ তা মেনে নেব না। আমরা প্রয়োজনে মরে যাব, তবু দাবি আদায়ে পিছ পা হব না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহজাহান বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। আমি শুধু রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করছি। আমার সীমাবদ্ধতা আছে। ইতিহাস বিভাগ পুনর্বহালের জন্য আমরা ইউজিসি বরাবর কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি তাদেরকে বিষয়টি বুঝানোর জন্য।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ইউজিসি ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটিতে আমিসহ অত্র বিশবিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক রয়েছেন’, বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসিরউদ্দিন ২০১৭ সালে ইউজিসির অনুমোদন না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ চালু করেন।
পরবর্তী দু’বছর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে ইতিহাস বিভাগে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন।
বশেমুরবিপ্রবি/মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন