ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘আবার জ্বলে উঠুক ছাব্বিশ’

ইকবাল হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৩, ৭ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আবার জ্বলে উঠুক ছাব্বিশ’

স্বাধীনতা সবাই চায়। বাঙালি জাতিও চেয়েছিল ১৯৭১ সালে। আজ, বাঙালি একটি স্বাধীন জাতি। তাদের কাছে আছে স্বাধীনভাবে বলার জন্য একটি স্বতন্ত্র ভাষা এবং একটি দেশ। স্বাধীনতা নিয়ে একেক জনের একেক রকম ভাবনা। কেউ বলছেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে, কেউ বা স্বাধীনতার এত বছর পর এসেও আমাদের জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে কথা বলছেন। এ রকম অসংখ্য চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান সমাজের বড় অংশ হচ্ছে তরুণ, তারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনেছেন। তাদের রয়েছে স্বাধীনতা নিয়ে অসংখ্য ভাবনা। এ সকল ভাবনার চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন- ইকবাল হাসান।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা শিখছি। কখনো ভুলের মাধ্যমে অথবা কোনো দৃষ্টান্তের মাধ্যমে। জাতি হিসেবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর। এই বিশেষ দিনগুলো আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ। স্বাধীনতায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় একদিন বাঙালি সশস্ত্রে এগিয়ে এসেছিল শত্রুর সম্মুখে। তেমনি, আমাদেরও আমাদের ব্যক্তিজীবনে নাগরিক অধিকার অথবা আমাদের প্রাপ্য দাবি পূরণে ছাব্বিশের মতো জ্বলে উঠতে হবে।

ছাব্বিশের তারুণ্য  বুকে ধারণ করতে হবে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আবেদীন আকাশ। তিনি বলেন, স্বাধীনতা শব্দটি বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। পৃথিবীর বুকে বাঙালি জাতি আলাদা একটি জাতি হয়ে ওঠার অধিকারবোধ। আমাদের এ স্বাধীনতা কিন্তু অন্য কারো করুণায় আসেনি; বহু দাম দিয়ে কেনা। পরাধীনতার শৃঙ্খল তছনছ করে দিয়ে তারুণ্যের স্ফুলিঙ্গ প্রজ্জ্বলিত করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল সেদিন এ দেশের তেজস্বী আত্মপ্রত্যয়ী তরুণরা। তাই তারুণ্য ও এ দেশের স্বাধীনতা প্রায় একসূত্রে গাঁথা।

স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণরা শিখিয়ে দিয়েছে পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের উদাহরণ। যেখানে অন্যায় অবাধে বিচরণ করে, সেখানে প্রতিবাদের মাধ্যমে ন্যায়ের ঝান্ডা উড়িয়ে অধিকার আদায় গৌরবের। ছাব্বিশের তারুণ্য আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। তবেই আমরা জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবো সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে।

বাঙালি জাতি হিসেবে দৃঢ় হোক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়ুয়া সাদিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে গুম, হত্যা। দেশ জুড়ে মারামারি, কাটাকাটি চলছেই। এই মারামারি, ঘৃণা, বিদ্বেষের অবসান হবে যখন জাতি, ধর্ম, বর্ণ সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে সম্মিলিত বন্ধন দৃঢ় হবে।

জাতি হিসেবে বাঙালি দৃঢ় হোক এবং আমার স্বাধীনতা পূর্ণতা পাক, দূর হোক দাসত্বের শৃঙ্খল।

ফেসবুক স্ট্যাটাসই যেন শ্রদ্ধার একমাত্র উপায় না হয়

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হেলাল হোসেন।  তিনি বলেন, স্বাধীনতা মানে মুক্তি। এই মুক্তি একটা ডানা মেলে পাখি উড়ার মুক্তি, একটা পুষ্প থেকে ফুল ফোটার মুক্তি, একটা ভাষার মুক্তি। স্বাধীনতা আমাদের এনে দেয় পরিচয়। আমাদের পরিচয়  স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। ২৬ মার্চ আসলেই আমরা ফেইজবুকে স্ট্যাটাসে হুমড়ি খেয়ে পড়ি শহীদদের শ্রদ্ধা  জানাতে। আমরা কি মনে-প্রাণে তাদের ধারন করি? স্বাধীনতা থাকবে আমার রক্তে আমার অনুপ্রেরণায়। আমি গর্ববোধ করি আমাদের মুক্তি যুদ্ধাদের নিয়ে।

লেখক: শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

কুবি/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়