দিনপতি
নাবিল হাসান || রাইজিংবিডি.কম
পারাবারে সম অশান্ত ক্রোধ ঐ আকাশে ঘনঘটা,
মহাপ্রয়াণের এই নগ্ন খেলায় অমৃত দরিয়ায় ভাটা।
দুলছে দোলক পেন্ডুলাম আর তরণী আছে যত,
রক্ত-মাংসের উৎপলকুলে অনলের যত ক্ষত।
থরথর আজি বাজির বাজনা সাজছে মানবকুলে,
কবিতার বধ কবির হাতে লিখতে গিয়েছে ভুলে।
লিখে যাও কবি অক্ষয়ী ধ্রুববার্তা,
গেয়ে যাও গান ঐকতানের যত মাত্রা,
এঁকে যাও যত হিরণ্য পথে যাত্রা,
ভুলো না দিতে সব,
তোমার আশে পথ চেয়ে বসে গোটা একটা ভব।
পুরো পৃথিবী আজ একই সূর্যে তূর্যে উদিত হাত,
চন্দ্র-সূর্য গিরি-নক্ষত্র মিলেছে একই সাথ।
বিপিনে প্রসূনে একই বৃন্তে আজি সবগুলো লোকালয় পাশে,
বিপদ দূরিলে শত্রু পুড়িলে বাঁচবে একই শ্বাসে।
ধনীরা আজ তব বিলিয়ে দিও,
গরিবেরা তার প্রয়োজনে নিও,
পালনে যার যার কর্ম স্বীয়,
রাখো হাতের উপর হাত,
দিবসের ঐ সবিতার আলোয় নাশিবে নিকষ রাত।
নৃপতি ভূপতি বাহশাহ তুমি অধরা ধরার মাঝে,
করুণার ক্ষম লহ পাপ সম দয়ালুর চির সাজে।
পাপের নীরদে বৃষ্টি নামলে পৃথ্বী হবে গো সিন্ধু,
পুণ্য তরী হয়নি তৈরি সইবে না ঢেউয়ের বিন্দু।
কল্যাণে একূল ওকূল ভাসাও,
শিশুর মুখে সূর্য হাসাও,
জাগাও বাঁচার আশাও,
হে দুর্দিনের দিনপতি,
বিপথগামীর অন্তর্যামী অন্ধকারের নূর জ্যোতি।
হে দুর্দিনের দিনপতি।
হে অধিনিয়মের পতি।
কবি: শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাবি/হাকিম মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন