ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গবির তেইশ বছরে গবিসাসের বর্ণিল আয়োজন

ধীরা ঢালী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:০৭, ১৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
গবির তেইশ বছরে গবিসাসের বর্ণিল আয়োজন

‘‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।

শাঁখে শাঁখে পাখি ডাকে

কত শোভা চারিদিকে!

আজকে মোদের বড়ই সুখের দিন।’’

অনুপ ঘোষালের পূব আকাশের সোনালী সূর্যের মতো দেদীপ্যমান  কিছু মুহূর্তের ছোঁয়ায় আজ আমরা আপ্লুত। আমাদের আকাশে-বাতাসে একঝাঁক উল্লাস এসে ভর করেছে। চারপাশের রঙিন শোভায় মুখরিত আমরা।কারণ, আজ মোদের বড়ই সুখের দিন। বলছি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌবরের ২৩ বছরে পদার্পণের আনন্দঘন  মুহূর্তের সাক্ষী গবিসাস আলাপনের বিশেষ লাইভ ‘তেইশে মোরা’।

এ যেন অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের এক অফুরন্ত উল্লাসের মেলবন্ধন। যেখানে ছিল না কোনো জমকালো আয়োজন, সানাইয়ের বাজনা। তবে যা ছিল তা আজকের সমাজে বড়ই অচল রঙিন অনুভূতি মোড়ানো ভালোবাসার ছোঁয়া।

এ বিষয়ে ‘তেইশে মোরা’ পর্বের পরিকল্পনা কমিটির অন্যতম সদস‌্য রোকনুজ্জামান মনি বলেন, ‘প্রথমে আমার মাথায় আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গবিসাসের পক্ষ থেকে এমন একটি আয়োজন করা দরকার, যেটা হবে গতানুগতিক ভাবনা থেকে একটু ভিন্ন ঘরানার। যেখানে থাকবে না কেক কাটা, আঁতশ বাজি ফোটানো। শুধুই থাকবে বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় মুখরিত আনন্দের জোয়ার। তাইতো আমাদের গবিসাস আলাপনের শিরোনাম রাখা হয়েছে ‘তেইশে মোরা’।’

‘‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে

নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?

রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান,

মোদের খোটো করে রাখেনি কেউ কোনো অসত্যে’’

রবি ঠাকুরের রাজার মতোই আমাদের ক্যাম্পাসের সবার প্রিয়  ব্যক্তিত্ব জিএস নজরুল ইসলাম রলিফ। তার নেতৃত্ব এবং ভালোবাসার কাছে আমরা সবাই অভিন্ন। কাউকে খাটো বা বঞ্চিত করার মানসিকতা আজও  তার মাঝে দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন উপলক্ষে গবিসাসের বিশেষ আয়োজন ‘তেইশে মোরা’ সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে প্রাণের গণ বিশ্ববিদ্যালয়। ২৩ বছরে পদার্পণের দিনটি নিয়ে আসলে আগে থেকেই অনেক পরিকল্পনা ছিল ছাত্র সংসদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিকূলে তাই  চাইলেও কিছু করা সম্ভব হয়নি। তবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বরাবরের মতোই সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ‘তেইশে মোরা’ অনুষ্ঠানটি খুব উপভোগ করেছি।’

‘কিছুক্ষণের জন্য ক্যাম্পাসের সব প্রিয় ভাই-বোন মোরা একই প্ল‌্যাটফর্মে যুক্ত হতে পেরেছি। যাইহোক, অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে। সেই সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বিশেষে সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা প্রতিনিয়ত আমার প্রাণের গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে সফলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ায় অবদান রেখে চলেছেন’, বলেন তিনি।

কালী প্রসন্ন ঘোষের কাজলা দিদির মতো আমাদের ক্যাম্পাসে হাজারো কাজলা দিদি এক সময় ছিলেন। যারা এখন সাবেক শিক্ষার্থীদের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। তবে আমাদের প্রতি তাদের ভালোবাসার বাঁধন এখনো অটুট। এমনই এক কাজলা দিদি শিক্ষানবিশ আইনজীবী মুন্নি আক্তার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বলেন, ‘শুভ জন্মদিন প্রাণের ক্যাম্পাস গণ বিশ্ববিদ্যালয়। আমার শৈশবের কথা তেমন মনে নেই। তবে আমি মনে করি এই ক্যাম্পাসেই আমার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে। আমি আমার ক্যাম্পাসকে সবসময় অন্তরে লালন করি। আর আমার ক্যাম্পাসের সবচেয়ে প্রিয় প্ল‌্যাটফর্ম গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। তাদের এমন আয়োজনে সত্যিই আমি গর্বিত।’

অফুরন্ত ভালো লাগা, ভালোবাসায় আবৃত প্রাণের ক্যাম্পাস গণ বিশ্ববিদ্যালয়। তোমাকে ভালোবেসে বারবার ফিরে আসতে চাই। তাইতো জীবনানন্দ দাশের সৃষ্টিকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই-

‘‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়

হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;

হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে

কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়;’’

 

গবি/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়