ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবির বাঁশের তৈরি শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে

রাশিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ১০ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বশেমুরবিপ্রবির বাঁশের তৈরি শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঝের অংশ ভেঙে মাটিতে পড়ে আছে। ভাঙা অংশটি ছিল বাঁশের তৈরি।

শহীদ মিনার! এক কথায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বীরত্বের প্রতীক। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা রাজপথে নিজের জীবনে উৎসর্গ করেছিল। তাদের ওই স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয় এ মিনার। তাদের এই আত্মত্যাগই আমাদেরকে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ  করে দাড়ঁ করিয়েছে। অথচ তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে যে শহীদ মিনার আমরা গড়েছি কতটুকু তার সম্মান আমরা করতে পারছি, এর রক্ষণাবেক্ষণই কতটুকু করতে পারছি। এর বাস্তব উদাহরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খন্দকার নাসিরুদ্দিনের আমলে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাজেট আসে শহীদ মিনার নির্মাণ ও এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।

অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ৫টি স্তম্ভের হলেও বশেমুরবিপ্রবিতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় ৩ টি স্তম্ভের মাধ্যমে।

আর মাঝখানে বাঁশের স্ট্রাকচার দিয়ে তৈরি করা হয় এ মিনার। স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো বড় দুর্যোগে ভেঙে পড়ার কথা। বাস্তবেও তাই ঘঠলো।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর দ্বায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের নয়, বরং তারা মনে করছে এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলাই দায়ী। এক্ষেত্রে তারা সাবেক ভিসির দেশপ্রেম না থাকাকেও দায়ী করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তন্বী সাহা বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শহীদ মিনার ভেঙে গেছে শুনতেও কষ্ট লাগে। যদি বাজেটের পুরো টাকা দিয়ে ভালোভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হতো, তাহলে এ ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হতো না। এর জন্য দায়ী সাবেক ভিসির অবহেলা ও দুর্নীতি। সাবেক ভিসি যে কতটা দুর্নীতিবাজ ছিল এই শহীদ মিনারই তার প্রমাণ।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নুরুদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, ‘শহীদ মিনার ভেঙে গেছে এ বিষয়টি আমি জানি না। মাত্রই শুনলাম। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

আড়াই কোটি টাকা বাজেট ছিল শহীদ মিনার নির্মাণ ব্যয়ে অথচ এখনো পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনারের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি কেন? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এখন ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।


বশেমুরবিপ্রবি/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়