ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

করোনায় ভেটেরিনারিয়ানের কিছু পরামর্শ

ডা. মো. মাসুদ পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ১৯ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনায় ভেটেরিনারিয়ানের কিছু পরামর্শ

বিশ্বব্যাপী চলছে সংকট, স্থবিরতা, অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। আর এ সব কিছু তৈরি হয়েছে শুধু একটা ক্ষুদ্র অণুজীব করোনাভাইরাসের কারণে। আমাদের জীবনটাই হয়ে গেছে করোনাময়! হাট-বাজারে, ঘরে-বাইরে, টেলিভিশনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার যেন একটাই বিষয়- করোনা!

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এটা এখন আর কারো অজানা নয়। পৃথিবী এর আগেও কলেরা, প্লেগ, গুটিবসন্ত, সার্স, মার্স, স্প্যানিশ ফ্লুসহ নানা মহামারির শিকার হয়েছে, যা অতীত ইতিহাস থেকে জানা যায়।

পৃথিবী ও মানুষসহ আমাদের আশেপাশের প্রায় সব কিছুই একটা নিয়মের মধ্যেই চলতে চায়। তারপরেও মাঝে মধ্যেই বিপর্যয় এসে বাঁধা প্রদান করে। ঠিক এই মুহূর্তে পৃথিবীতে যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছে। করোনা যুদ্ধ! হ্যাঁ, এই যুদ্ধ প্রকৃতিতে মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। আর এই মুহূর্তে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার হাতিয়ার হচ্ছে সচেতনতা, ধৈর্য্য, সাধ্যমতো প্রচেষ্টা, মানসিক শক্তি ও ঘরে থাকা।

করোনাকালীন সময়ে আমাদের কি কি করা উচিৎ, কি কি করা উচিৎ নয় এমন শিরোনামে অনেক লেখা বা প্রতিবেদন আমরা শুরু থেকেই দেখে আসছি। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, সামাজিক বা ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা এগুলো আমরা সবাই কমবেশি মেনে চলছি।

এত কিছুর পরেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জ্যামিতিক হারে আক্রান্তের সংখ্যা যেন বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তের যে হার আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার মধ্যে যুবকদের সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক। এটার একটা কারণ হতে পারে তাদের বেপরোয়া চালচলন ও ‘ড্যাম কেয়ার’ ভাব। যুবকদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা উচিৎ। কেননা তারা নিজে তো আক্রান্ত হচ্ছেই, সাথে সাথে তাদের পরিবারকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে একদম বাচ্চা বয়সের ছেলেমেয়েরা যারা কিনা এখনো অতটা বুদ্ধিসম্পন্ন না, তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই। কিন্ত মোটামুটি বড় হচ্ছে, কিছু কিছু বিষয় বুঝতে শিখছে, তারা কিন্তু বেশ ভয় আর উদ্বেগের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিবারের দায়িত্বশীল মানুষদের উচিৎ এ সব শিশুরা যেন সঠিক তথ্য পায়, ভয় না করে, নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং মানসিকভাবে একদমই বিচলিত না হয় সেদিকে নজর দেওয়া।

গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিৎ। মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে, মা থেকে ভ্রণে, অ্যামনিওটিক ফ্লুইডে করোনার উপস্থিতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নানারকম গবেষণা চলছে। তবে যেহেতু গর্ভাবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই নিয়মিত চেক আপের বিষয়ে মায়েদেরকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

করোনাতে অনেক সতর্কতার বিষয়ে মানুষেকে জানানোর পরেও এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি বেশি জোর দেওয়া। দীর্ঘ সময়ে বাড়িতে বসে থেকে বা নিয়মিত কাজের মধ্যে থাকতে না পেরে অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ! এ থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া জরুরি। কেননা মানসিক চাপ বা টেনশন খুবই খারাপ একটি বিষয়।

আমাদের আশেপাশে করোনা নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা নিয়মিত লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে নানা রকম গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এই তথ্যগুলো শেয়ার করার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে তবেই শেয়ার করা উচিৎ। কেননা আপনার ছড়ানো এ ভ্রান্ত বিষয়গুলোর কারণে সমাজের মানুষের মনে তৈরি হচ্ছে আতংক, ভয়, অস্থিরতা। যেটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

আরেকটি ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে, যারাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তাদেরকে বেশির ভাগ মানুষই ভালোভাবে গ্রহণ করছে না। সমাজের সবাই মিলে আমরা এমন আচরণ করছি, যেন আক্রান্ত রোগী একজন অপরাধী! অনেক জায়গায় সামাজিকভাবে বঞ্চনার শিকারের খবরও পেয়েছি আমরা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এমন কথা কখনই যেন না বলি যে অমুক, করোনার শিকার হয়েছেন! এতে রোগী মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বেন এবং নিজেকে অসহায় মনে করতে থাকবে, যা তার দ্রুত সেরে উঠাকে বাধাগ্রস্থ করবে।

আমাদের পরিচিত কেউ বা সমাজের কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই তাকে মানসিক শক্তি যোগানোর, তার সাহস বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিৎ। সে এবং তাঁর পরিবারের মানুষদের সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলে এবং ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে সাহায্য সহযোগিতা করা উচিৎ। সামাজিকভাবে যেন নিগৃহীত না হয়, সে ব্যাপারে এলাকার ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকা উচিৎ।

করোনায় মৃত্যুবরণ করা মানুষদের দাফনের ক্ষেত্রেও নানারকম অনীহা, অসংগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এখনো মানুষের মাঝে অজানা ভয় কাজ করছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ২৪ মার্চের রিপোর্টে এটা আশ্বস্ত করেছে যে, করোনায় মৃত্যুবরণকারী লাশের দাফনে ভয়ের কিছু নেই। মৃত মানুষের শরীর থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় না।

করোনার কারণে আমাদের দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে, এমন কোনো ধারণাও আমরা এই মুহূর্তে করতে পারছি না। তাই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার সাথে সাথে আমাদের দেশের যা সম্পদ আছে, এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য সর্বোচ্চ কাজ করা উচিৎ। করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় কৃষি জমিগুলোর এখন থেকেই সর্বোচ্চ ব্যবহার ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ দেশের মানুষের আমিষের যোগানে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। মাংস, দুধ, ডিমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণ হয়েই আসছে। বাংলাদেশে মাছের উৎপাদনও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এই আপদকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকার কৃষি, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য সেক্টরে জড়িত মানুষদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে, যা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই বিষয়ের উপরে সরকারের আরও মনোযোগী হওয়া উচিৎ৷ কেননা করোনা চলাকালীন এবং করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের খাদ্য যোগানই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খুব কঠিন একটা সময় পার করছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর এই মুহূর্তে আমাদের সেই মেরুদণ্ডের পুনর্গঠন ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবহারিক নির্ভর বিভিন্ন কোর্সে শুধু থিওরিটিক্যাল জ্ঞান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত চলছে অনলাইন ক্লাস। যদিও অনলাইন ক্লাসের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে ব্যাপারটা এভাবে নেওয়া উচিৎ - 'নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো'। ইউজিসি বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে। বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এই আপদকালীন সময়ে কিছুটা সাপোর্ট দিবে বলে মনে করি।

বেশির ভাগ মানুষের এখন সারাদিনই প্রায় ঘরে বসেই কাটাচ্ছে। এ সময়ে মোবাইল/ ল্যাপটপ হয়ে উঠেছে তাদের প্রধান ভরসার স্থল! অতিরিক্ত মোবাইল/ ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে, একদিকে যেমন তাদের আসক্তি তৈরি হচ্ছে, সাথে সাথে বাড়ছে তাদের মানসিক অবসাদগ্রস্ততা। মানসিক চাপের কারণে আমাদের মস্তিষ্কে নানারকম রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। অস্থিরতা বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত অস্থিরতায় মানুষ মানসিকভাবে আরও ভেঙে পরে এবং সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে।

তাই এ সময়টায় নিজেকে চনমনে রাখতে বেশি বেশি বই পড়া, নিজস্ব ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলা, পছন্দের গান শোনা, ব্যক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে কাজ করা, সুযোগ সুবিধা মতো হালকা ব্যায়াম করা, সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য চাওয়া, মেডিটেশন, ব্রিদিং রিলাক্সেশন এক্সারসাইজ করতে মনকে ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করা যেতে পারে। এছাড়া পরিবারকে সময় দিয়ে পরিবারের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার কাজটাও সেরে নেওয়া যায় এর মধ্যেই।

সব বয়সের মানুষদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অসহায়, অভাবী, খেটে খাওয়া মানুষরা যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, এ ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের আরও বেশি বেশি এগিয়ে আসা উচিৎ। নিয়মিত ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল, টাটকা শাক সবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম শরীরকে আলাদা শক্তি যোগাবে। তাই সুযোগ থাকলে এগুলো অবশ্যই খেতে হবে।

এছাড়া ভেষজ কিছু উপাদান যেমন আমলকি, আদা, তুলসিপাতা, রসুন, কালোজিরা, লবঙ্গ, মধু, চা এগুলো খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। এগুলো হয়তো আপনাকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু আপনি যদি দুর্ঘটনাবশত আক্রান্ত হয়েই যান, তবে আপনার শরীরকে বেশ সাপোর্ট দিবে। প্রত্যেকটা উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুস্ট আপ করতে সাহায্য করে।

ব্যক্তিগতভাবে এ সময়ে আমি আমার এলাকায় বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কাজ করে আসছি। তরুণদের অনুপ্রেরণা দিয়ে ছোট ছোট বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে আসছি। ভেটেরিনারি ডাক্তার হিসেবে টেলিমেডিসিন এবং অনেক সময় সরাসরি গবাদিপ্রাণি ও পশু-পাখির সেবা করে যাচ্ছি। প্রাণী ও পশু-পাখি নিয়ে মানুষের মাঝে প্রচলিত অবান্তর ও ভ্রান্ত ধারণাগুলো নিরসনে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি।

করোনা নিয়ে মানুষের মাঝে প্রচলিত একটা ভুলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভুল হচ্ছে পশুপাখির মাধ্যমে করোনা ছড়ায়! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে এখন পর্যন্ত এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ফেসবুকের মাধ্যমে দুয়েক জায়গায় প্রাণীদের প্রতি নিষ্টুর আচরণ চোখে পড়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। তবে করোনায় অসুস্থ মানুষদের পোষাপ্রাণীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই ভালো। এক্ষেত্রে প্রাণিচিকিৎসক/ভেটেরিনারিয়ানদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

মাছ, মাংস, দুধ, ডিম নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন টেলিভিশনে ও মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রচার বেশ প্রশংসনীয়।

এছাড়া অন্যান্য জরুরি সেবার মত ভেটেরিনারি সেবাদানও অব্যাহত রয়েছে। ভেটেরিনারিয়ানরা দেশব্যাপী মোবাইলের মাধ্যমেও প্রাণিসেবা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যারা জরুরি সেবা দিয়ে আমাদের ঋণী করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি সবার সন্মান প্রদর্শন করা উচিত। এক্ষেত্রে ডাক্তাররা জাতীয় বীর হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আমরা সবাই যখন ঘরে বসে নিজেকে ও নিজেদের পরিবারকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টায় দিন অতিবাহিত করছি, ঠিক সেই সময়ে ডাক্তারগণ ও  অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি জাতির সর্বস্তরের মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

এছাড়া যারা এই আপদকালীন সময়ে জরুরি সেবা যেমন চিকিৎসা, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ব্যাংকার, ভেটেরিনারিয়ান সকলকেই সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা উচিত ও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত।

চলমান এমন অন্ধকার হয়তো একদিন থাকবে না। করোনাকে হারিয়ে মানুষ আবার হাসবে, বাঁঁচবে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আমরা বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারবো। ঘরের বন্দিদশা কাটিয়ে আবার পারবো প্রিয় মুখগুলোর কাছে যেতে। তাদের প্রিয় মুখগুলো দেখে শান্তি পাবো। আপাতত শুধু এমনই একটি সুস্থ, সুন্দর পৃথিবীর অপেক্ষায় প্রহর গুণছি।

লেখক: প্রভাষক, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।


গবি/আনীন/অনিক/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়