ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিল্প-সাহিত্যচর্চায় অনন্য হাবিপ্রবির যে সংগঠন

হাবিবুর রহমান মুন্না || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  
শিল্প-সাহিত্যচর্চায় অনন্য হাবিপ্রবির যে সংগঠন

‘মুক্ত চিন্তা’ একটি জরুরি বিষয়। এটি জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটায়। সৃজনশীল শিল্পীরা সেই অবাধ চিন্তার সৃষ্টিশীল ও দৃষ্টিনন্দন অবয়ব দেন তার কর্মে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনই চারজন সৃষ্টিশীল মানুষ-জাহিদ, কৈলাশ, অনিক ও নোমান। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে HSTU Art and Literature Association (HSTUALA)। এটি শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক একটি সংগঠন।

HSTUALA-এর উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসের শৈল্পিক মনের মানুষগুলোকে একত্রিত করা। এখানে শিক্ষক কিংবা ছাত্র বলে ভিন্ন ভিন্ন কোনো গোষ্ঠী বা পরিচয় থাকবে না। সবাই একটিই পরিচয় বহন করবে-শিল্পী। এই নীড়ে সবাই সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল, অনুপম, অনন্য এবং অসাধারণ থাকবে তাদের মেধা ও মননে। এভাবেই ২০১৭ সালের জুনে ২৩ সদস্যের কমিটি নিয়ে যাত্রা শুরু করে HSTUALA।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো সংগঠনের মধ্যে HSTUALA ব্যতিক্রমী। এর প্রত্যেক সদস্য তার কাজে সৃষ্টিশীল। কেউ লেখেন, কেউ আঁকেন, কেউ গাইতে পারেন, কেউবা পারেন নাচতে। কেউ আবৃত্তিতে দারুণ, কেউ রাঁধতে পারেন বেশ, কেউবা ব্যবস্থাপনায় পটু। মানুষকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাদের।

এদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সফল উদ্যোক্তা। পিগমেন্ট, চিলেকোঠার সেপাই, ইয়াসিন’স আর্ট অ্যান্ড ক্যালিগ্রাফি নামে তারা গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম।

সূচনালগ্ন থেকেই আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন খান স্যার। প্রতিনিয়ত নবীন শিল্পীর আবির্ভাব ঘটছে এই সংগঠনে। জ্যেষ্ঠ শিল্পীরা অনুপ্রেরণা যোগান দিচ্ছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে।

চারজন শিক্ষক রয়েছেন উপদেষ্টা হিসেবে। রয়েছেন অর্ধ শতাধিক শিল্পী। প্রত্যেকের সফল প্রচেষ্টায় জাতীয় দিবসগুলোতে দেয়ালিকা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠান, সাপ্তাহিক পাঠচক্র, কবিতা দিবস পালন, ক্যাম্পাসে একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ, চিত্রকলা প্রদর্শনীসহ প্রতিষ্ঠানটি আয়োজন করছে নানা কার্যক্রম। করোনাকালেও ফেসবুক গ্রুপে সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন তারা। সংগঠিনটি শিল্পীদের সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে সবসময়।

সম্প্রতি আয়োজন করা হয় অনলাইন শিল্প ও সাহিত্য প্রতিযোগিতার। সংগঠনের সভাপতি দেবাশীষ কুমার কবিরাজ জানান, করোনাসংকট শেষে সংগঠনের তৃতীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে। নবাগত শিল্পীদের জন্য স্থান ছেড়ে দিতে হবে। তারা নতুন ভাবনার জন্ম দেবেন। নতুন রূপে শিল্পচর্চায় মনোযোগী হবেন। প্রিয় সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সৃজনশীল কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম স্যারও বেশ আনন্দিত। শিল্পীদের মিলনস্থল এই সংগঠনটিকে সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতিটি সদস্য বদ্ধপরিকর। আমাদের প্রত্যাশা, ‘হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের মানসপটে প্রজ্জ্বলিত হোক শিল্প ও সাহিত্য গুণ।’

লেখক: শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

হাবিপ্রবি/মাহফুজ/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়