ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বগুড়ায় আলো ছড়াচ্ছে ‘আলোর প্রদীপ’

সাজেদুর আবেদীন শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০  
বগুড়ায় আলো ছড়াচ্ছে ‘আলোর প্রদীপ’

‘আলোর প্রদীপ’ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সামাজ উন্নয়নমূলক একটি সংগঠন। আগামী ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে একযুগ পূর্ণ করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। এ অঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান ও মাদক প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে এই সামাজিক সংগঠন।

মাদক রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে আলোর প্রদীপ-এর গৃহীত কর্মসূচি ইতোমধ্যে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। দরিদ্র-অসহায় শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা ব্যয় বহনের এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে আলোর প্রদীপ। এ পর্যন্ত ১১৩ জন অতি দরিদ্র শিক্ষার্থীর শিক্ষার সকল ব্যয় বহন করেছে। বর্তমানে ১৩ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে এর সদস্যরা। পাশাপাশি ১ জন এতিম শিক্ষার্থীর দৈনন্দিন ও উচ্চ শিক্ষার ব্যয়সহ নানাবিধ খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন তারা।

সংগঠনের সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পরিবারকে সহায়তার পাশাপাশি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকেই কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। অথচ এক সময় তাদের প্রাথমিক শিক্ষা জীবনেই ঝড়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল।

প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ, স্কুল ড্রেসসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা।

সংগঠনের বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, এই উপজেলাটি নানা কারণেই উল্লেখযোগ্য। যমুনা তীরবর্তী এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র সীমার নিচে বাস করেন। অনেক পরিবারেই নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন দুরূহ ব্যাপার তাদের কাছে। এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়া রোধে কাজ করছে আমাদের সংগঠন।

তাদের পড়াশোনার ও নিয়মিত পুষ্টির অভাব দূরীকরণের নৈতিক দায়িত্ব আলোর প্রদীপ কাঁধে তুলে নিয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সংগঠনের সদস্যরা। দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়ন চাই আমরা। পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলো যেন সমাজের মূল স্রোতে চলতে পারে সেটাই আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, বলেন আজাদ।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের অনুদানেই সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সবার ভালোবাসায় আজ আমরা একযুগ পূর্ণ করতে যাচ্ছি। এই পথচলা সহজ হয়েছে সদস্যদের শ্রম, মেধা ও সততার মাধ্যমেই। সঙ্গে রয়েছে মানুষের ভালোবাসা।

লেখক: শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু কলেজ। 

ঢাকা/মাহফুজ/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়