ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিঙ্গাপুরে পড়তে যাওয়ার আগে একটু থামুন

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ১০ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:৪৬, ১০ নভেম্বর ২০২০
সিঙ্গাপুরে পড়তে যাওয়ার আগে একটু থামুন

বিশ্ব মানচিত্রে পাখির চোখের মতো ছোট এক দেশ সিঙ্গাপুর। ছোট হলেও আধুনিক সব সুবিধায় ঠাসা এই দেশ। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থাকে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এশিয়ার কয়েকটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এই সিঙ্গাপুরে অবস্থিত।

সিঙ্গাপুরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আপনি পড়তে চান আর ব্যাগ গোছানো শুরু করে থাকেন, তবে একটু থামুন। জেনে নিন কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয়।

দেশটিতে পড়তে গেলে সবার আগে লাগবে ‘স্টুডেন্ট পাস’। আপনি যদি কোনো সংক্ষিপ্ত বা সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়তে সিঙ্গাপুর যেতে চান, তবে আপনার আশায় গুড়েবালি। সিঙ্গাপুরে পূর্ণাঙ্গ কোর্সে ছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের কোনো ‘স্টুডেন্ট পাস’ দেওয়া হয় না।

‘স্টুডেন্ট পাস’ পেতে প্রয়োজন হয় বেশকিছু কাগজপত্রের। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছেন, সেখানকার একটি স্বীকৃতি নিতে হবে, আপনার ভ্রমণ ইতিহাস জানাতে হবে। অবশ্যই যুক্ত করতে হবে একটি জীবনবৃত্তান্ত। যেখানে আপনার শিক্ষাজীবন, পূর্বে আপনি কোন দেশে ছিলেন, কি করতেন, আপনার অর্থনৈতিক সংস্থান কিভাবে হবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ থাকতে হবে। দিতে হতে পারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্ণনাও। সাথে ইমেইল, ছবি, সিঙ্গাপুরে কোথায় থাকবেন এসবও যুক্ত করতে হবে।তবে প্রতিষ্ঠান ও পরিস্থিতিভেদে প্রয়োজন হতে পারে আরও তথ্য। তবে ‘স্টুডেন্ট পাস’ থাকলে পাবেন পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ।

‘স্টুডেন্ট পাস’ এর জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনে। তবে তার আগে আপনাকে পেতে হবে সিঙ্গাপুরের কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ। সুযোগ পাওয়ার পর আপনি একটি আবেদন নম্বর পাবেন, সেই নম্বর দিয়ে ঢুকতে হবে ‘স্টুডেন্ট পাস’ এর সাইটে।

সেখানে নির্দেশিত উপায়ে আবেদন শেষ করতে হবে। খরচ পড়বে ৩০ সিঙ্গাপুরি ডলার। পাশাপাশি আবেদন শেষে যে ফরমটি দেবে সেটিও প্রিন্ট করে রেখে দিতে হবে পরবর্তী প্রয়োজনে।

আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে সিঙ্গাপুরের প্রশাসন। আবেদন গৃহীত হলে তারা আপনাকে একটি ফিরতি মেইল পাঠাবে ‘সিকিউরিটি মানি’ পাঠানোর জন্য। বাংলাদেশ, মায়ানমার, চীন ও ভারতের শিক্ষার্থীদের এক্ষেত্রে ব্যয় করতে হবে ৫ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার। তবে কিছু ক্ষেত্রে আপনি এই খরচ থেকে নিষ্কৃতিও পেয়ে যেতে পারেন। ১৬ বছরের নিচে কেউ ‘স্টুডেন্ট পাস’ এর জন্য আবেদন করলে, কোনো সিঙ্গাপুরি নাগরিকের স্ত্রী/সন্তান হলে, কোনো প্রতিষ্ঠান আপনবাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সে দেশে নিয়ে গেলে আপনার ‘সিকিউরিটি মানি’ দিতে হবে না।

‘স্টুডেন্ট পাস’ পেতে সাধারণত আবেদনের দিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে দেরিও হতে পারে। তবে আপনাকে সবকিছুই মেইলের মাধ্যমে জানাতে থাকবে তারা।

আপনার আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হলে দেশটির ‘আইসিএ’ আপনাকে একটি ‘আইপিএ’ চিঠি পাঠাবে। সেখানে আপনাকে কিছু নথিপত্র দেখানোর তালিকা দেয়া থাকবে। সেগুলো নিয়ে আপনাকে সিঙ্গাপুরে ‘আইসিএ’ অফিসে হাজির হতে হবে। সেখানে সাক্ষাৎকার ও নথিপত্র পর্যালোচনার পর আপনি পাবেন সিঙ্গাপুরের কাঙ্ক্ষিত ‘স্টুডেন্ট পাস’।

ঢাকা/নোবেল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়