ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

স্বাধীন ভারতের শিক্ষার বাতিঘর মৌলানা আজাদ

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১১ নভেম্বর ২০২০  
স্বাধীন ভারতের শিক্ষার বাতিঘর মৌলানা আজাদ

আজ ১১ নভেম্বর। স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিন। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার ভিত গড়ে যাওয়া এই শিক্ষানুরাগী, বুদ্ধিজীবী ও স্বাধীনতা যোদ্ধার জন্মদিনকে প্রতিবছর ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

মৌলানা আজাদ নামে সুপরিচিত এই শিক্ষানুরাগীর জন্মদিনকে ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন শুরু হয় ২০০৮ সালে। ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল সেবছর দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে জাতীয় শিক্ষা দিবস এর উদ্বোধন করেন।

মৌলানা আজাদ ছিলেন স্বাধীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার একজন মুখ্য কারিগর। ভারতের শীর্ষ শিক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই) তাঁর হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে। ঐতিহাসিকদের মতে, মৌলানা আজাদ উচ্চতর শিক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। যা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ভারতের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উত্থানের পেছনেও সেগুলো ব্যাপক অবদান রেখেছে। খড়গপুরে ভারতের প্রথম ‘টেকনোলোজিকাল ইন্সটিউউট’ মৌলানা আজাদের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মৌলানা আজাদ তাঁর এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘স্কুল এবং ল্যাবগুলো ভারতের ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করছে। তাই আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে।’ সে লক্ষ্যে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন।

খড়গপুরের আইইটি, ইউজিসি বা এআইসিটিই ছাড়াও মৌলানা আজাদ কাজ করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস’, ‘সঙ্গীত-নাটক একাডেমি’ এবং ‘কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠায়।

মৌলানা আজাদ ১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রবক্তা আজাদ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। 

তিনি সাংবাদিকতার পেশা গ্রহণ করে ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করেন এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সমর্থন জানান। পরে আজাদ খিলাফৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন।

সেই সময়, তিনি মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন। ১৯২৩ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি। মৌলানা আজাদ ভারতের শিক্ষায় তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে মরণোত্তর ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কারে ভূষিত হন।

২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান এই মহিয়সী।

ঢাকা/নোবেল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়