ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ওরা সত্যের সন্ধানে মুক্ত কলমসৈনিক

তারিক সাইমুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫২, ১৮ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:০১, ১৮ নভেম্বর ২০২০
ওরা সত্যের সন্ধানে মুক্ত কলমসৈনিক

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সচরাচর ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা এটা পেশা হিসেবে না নিলেও তাদের সৃজনশীল চিন্তা, অদম্য সাহস, ধৈর্য, প্রজ্ঞা, মেধা ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করে যান। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে পেশা হিসেবেও গ্রহণ করেন অনেকে। 

প্রচলিত একটি কথা আমরা শুনি, ‘জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম’। একজন প্রজ্ঞাবান সাংবাদিককে বলা হয় কলমসৈনিক। কখনো কখনো এ কলমসৈনিকের কলমের ক্ষুরধার লেখা রাজার সিংহাসনও কাঁপিয়ে তোলে। আর সত্য ঘটনাকে ব্যক্তিস্বার্থ পরিত্যাগ করে বস্তুনিষ্ঠতার মাধ্যমে সময়োপযোগী তথ্য র্নিভুলভাবে তুলে ধরার নামই সাংবাদিকতা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পাশাপাশি সত্যকে খুঁজে বের করার প্রত্যয় নিয়ে তৈরি হয় এক একজন মুক্ত কলমযোদ্ধা। যে যুদ্ধের কমান্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। এমনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সাংবাদিক সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটিও সত্যের সন্ধানে মুক্ত কলমসৈনিক তৈরির একটি অনন্য নাম। 

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সালেহ শামীম-মাহফুজ আহমেদের হাত ধরেই ২০১৮ সালে ১৮ নভেম্বর সংগঠনটির যাত্রা শুরু। তাদের মতো কলমসৈনিকের সহযোদ্ধা হিসেবে মুরতুজা, সাব্বির, রাকিব, প্রান্ত, আদনানসহ অনেক যোদ্ধার প্রচেষ্টাই ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। বর্তমানে মুরতুজা-সাব্বিরের হাত ধরেই নবীন-প্রবীণদের সত্যের পথে এ কলম চলছে।

ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে তাদের সফলতাও চোখে পড়ার মতো। সত্যের বাহন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে সংগঠনটির একঝাঁক সাহসী সাংবাদিক। 

লোকচক্ষু অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে যেমন কলম ধরে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি, তেমনি ক্যাম্পাসের সুনাম বাড়াতেও দেশ-বিদেশের সামনে তুলে ধরে ক্যাম্পাসের প্রতিদিনকার কর্মকাণ্ড। সচেতন সাংবাদিক গড়ার এ কারিগর আগামীতেও এভাবেই মুক্ত কলমসৈনিক তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সেই প্রত্যাশায়। শুভ জন্মদিন প্রাণের সংগঠন। 

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

ইবি/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়