ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বিদেশে পড়ার স্বপ্ন পূরণের সহযোগী মোস্তাক

শেখ নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩২, ২২ নভেম্বর ২০২০  
বিদেশে পড়ার স্বপ্ন পূরণের সহযোগী মোস্তাক

বাবা চিকিৎসক, তাই ছেলে মোস্তাক আহমেদ শান্তরও স্বপ্ন ছিল তিনি ডাক্তার হবেন। পরীক্ষা দিলেন মেডিকেল কলেজে। কিন্তু, দেশের কোনো মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাননি। তবে তাতে দমে যাননি মোস্তাক। পরিবারের সহায়তায় চীনে গিয়ে পূরণ করেন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। 

সেই থেকে হাজারো শিক্ষার্থীর বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণের সারথি মোস্তাক। ২০১৬ সালে ব্যাচেলর অব মেডিসিন (এমবিবিএস) পড়তে পাড়ি জমিয়েছিলেন চীনের হুবেই প্রভেন্সির ইচাং সিটির চায়না থ্রি গরজেস ইউনিভার্সিটিতে।

চীনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ‘তোমার স্বপ্ন, আমাদের সফলতা’ স্লোগানে ২০১৭ সালে খুলেন গ্লোবাল প্রসেস লিমিটেড। 

যার মাধ্যমে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পড়াশোনা, টিউশন ফি ব্যবস্থাপনা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে তার কন্সালটেন্সি ফার্ম । 

প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ইউনিভার্সিটিগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও স্কলারশীপ নিয়ে কাজ করে থাকে ৷ এছাড়া ভিসা, ইমিগ্রেশন এবং ট্যুরের ব্যবস্থা, হোটেল বুকিং, ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স, ট্রাভেল লোনের ব্যবস্থা এবং টিকেটিং সহযোগিতা করে ৷

ঢাকার নিকুঞ্জে ‘গ্লোবাল প্রসেস লিমিটেড’-এর অফিসে নিয়ে  ৭ থেকে ৮ জনের কর্মসংস্থানও  করেছেন মোস্তাক।

গত কয়েক বছরে চীন ছাড়াও মালয়েশিয়া, ভারত, রাশিয়াসহ ১০টি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঁচ'শ শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করেছেন মোস্তাকের এই প্রতিষ্ঠান।

তরুণ এই উদ্যোগক্তা শুধু এখানেই থেমে থাকেননি গ্লোবাল প্রসেস ট্রাভেলস, গ্লোবাল প্রসেস ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, গ্লোবাল মেডিগিয়ার, এবং গ্লোবাল প্রসেস এডু ম্যানেজমেন্ট খুলেছেন।

উচ্চশিক্ষা নিয়ে কাজ করে মোস্তাক আহাম্মেদ শাম্ত পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং কন্ট্রিবিউশন ইন এডুকেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল এডু স্টার ফর লিডারশিপ ইন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড।

তরুণ মোস্তাক আহমেদ শান্ত বলেন, 'দেশে যখন মেডিকেলে চান্স পাইনি তখন ভাবলাম বিদেশে গিয়ে পড়ব। তখন বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম জানার জন্য কিভাবে কি করতে হয়। কিন্তু দেখলাম ওনারা অনেক তথ্য ভুল দিয়ে থাকেন। আবার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে দেরিতে ইউনিভার্সিটিতে জমা দেন। এক কথায় শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে।'

মোস্তাক বলেন, 'চীনে যাওয়ার এক বছর পর ভাবলাম একটা পরামর্শ ফার্ম খুলি। এরপর থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছি। আমাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়েছে। তাছাড়া করোনা মহামারির সময় আমরা অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা চাই কেউ যেন বিদেশে উচ্চ শিক্ষার গ্রহণ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত না হয়।'

নাসির/নোবেল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়