ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যে সুযোগ দিচ্ছে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি

কাজী জাফর আহম্মেদ সাব্বির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:৪৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
যে সুযোগ দিচ্ছে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বল্প খরচেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে ভারত। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সঙ্গে এখন এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও শিক্ষার মানে অনেক ওপরে উঠে এসেছে। ভারতের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর মধ্যে অন্যতম। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হলো ‘লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি’।

লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি একটি বেসরকারি এবং অর্ধ-আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের মধ্যে বৃহত্তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি হয়েও এখানে রয়েছে সর্বোচ্চ আবাসিক সুবিধা। ভারতের পাঞ্জাবের ১০০০ একর জমির উপর অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সেই দেশের ২৬টি রাজ্য ও ১৬টি দেশের মোট ২৫ হাজারেরও বেশি  শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সেই দেশের ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি), ভারতীয় ইউনিভার্সিটি সংস্থা, দূরবর্তী শিক্ষা কাউন্সিল, শিক্ষা জাতীয় কাউন্সিল, ভারতীয় ঔষধালয় কাউন্সিল, ভারতীয় ফিজিওথেরাপিস্ট সংস্থা, স্থাপত্য কাউন্সিল ও ভারতীয় বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদন ও স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এখানে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে পৃথক এসি এবং নন এসির আবাসন ব্যবস্থা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উন্নত গবেষণাগার। রয়েছে আলাদা আলাদা ৫৮টি ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং, শপিং মল ও নিজস্ব হাসপাতাল। 

লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর, স্নাতক ও ডিপ্লোমা প্রোগ্রামসহ বর্তমান সময়ের চাহিদাসম্পন্ন সব বিষয়েই ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি টুইনিং প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক এক্সপোজার প্রোগ্রামের জন্য বিভিন্ন দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ স্কলারশিপের সুবিধা।

অ্যাকাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন কো–কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম বা ক্লাব। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো ক্লাবে অংশগ্রহণ করে নিজের দেশকে উপস্থাপন করার সুযোগ পায়। ইতোমধ্যে এই ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সুনাম অর্জন করেছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি রয়েছে নিজের প্রতিভা বিকাশের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। পার্ট-টাইম ও ফুলটাইম বিভিন্ন চাকরির সুযোগও রয়েছে। কিন্তু সেজন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।

প্রতিবছর মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, এইচপি, টাটা ও ইন্টেলের মতো আন্তর্জাতিক বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়ে চাকরি মেলার আয়োজন করে ও যাচাই-বাছাই শেষে মেধাবী ও পরিশ্রমীদের উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ দেয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই সুযোগ কাজে লাগাতে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই মেধার পরিচয় দিতে হবে ও দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। 

গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে (সেসব দেশের শর্তাবলী মেনে) জবের জন্য আবেদন করার সুযোগ করে দেয় এই বিশ্ববিদ্যালয়।

কেউ যদি সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে তার জন্য অপেক্ষা করছে সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আর যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক মাত্র। 

লেখক: শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি, পাঞ্জাব, ভারত।

ঢাকা/শামীম/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়