বিলেতে আমার প্রথম দিন (পর্ব-১)
রিয়াদ আরেফিন রিমন || রাইজিংবিডি.কম
সময়টি ছিল ২০১৪ সালের অক্টোবর মাস। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো আমার স্বপ্নের ঠিকানা লন্ডনের দিকে অগ্রসর হলাম। প্রবাসী হিসেবে আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
বিমান থেকে নামার সময় ভিড়ের মধ্যে আমি খানিকটা ভয়ে ছিলাম, এই বুঝি আমি আবার ভুল জায়গায় নেমে পড়ছি কি-না। পরে একটু এগোনোর পর দেখলাম, না ঠিক জায়গাতেই পৌঁছাতে পেরেছি। অনেক ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করে অভিবাসন অফিসের দিকে অগ্রসর হলাম। আসলে কি! বাংলাদেশে লোকাল বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা থাকার কারণে খুব একটা সমস্যা মনে হয়নি।
অভিবাসন অফিসের সামনে এসে দেখলাম সেই এক বিশাল লাইন ধরে সবাই দাঁড়িয়ে আছেন। অভিবাসন অফিসে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যাবে, তাই আমি চালাকি করে লাইন ব্রেক করে এগিয়ে চলে গেলাম অনেক দূর পর্যন্ত ও অফিসারের সামনে উপস্থিত হলাম।
একটা ব্যাপার দেখে অবাক হলাম, লন্ডনের অভিবাসন অফিসে সব ইন্ডিয়ান অফিসার, তখন বুঝতে পারলাম আসলেই ওরা জাতি হিসেবে আমাদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। অবশেষে সফলভাবে আমি আমার কাজ শেষ করে লাগেজ নিয়ে বের হয়ে আসতে সক্ষম হলাম।
বাইরে আমার বড় ভাই আমাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এসেছিল। আমার সঙ্গে আমার এক বন্ধু ছিল। বের হয়েই প্রথমে প্রাকৃতিক চাহিদা সম্পাদনের জন্য টয়লেটে গেলাম। গিয়ে দেখি এ কি কাণ্ড! তারা সেখানে পানি ব্যবহার না করে বরং টিসু ব্যবহার করেন, ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই নোংরা মনে হলো।
সেখান থেকে আমি সরাসরি মেট্রো রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসি। মজার ব্যাপার হলো, ট্রেন থেকে নেমে আমি খানিকটা হতাশ হই। কারণ, ভেবেছিলাম আশেপাশে সব ব্রিটিশ জাতি দেখবো কিন্তু হলো পুরো উল্টো। আশেপাশে সবাই ছিল এশিয়ান তার মধ্যে কিছু কিছু ব্রিটিশ ছিল।
এরপর একটু খাওয়াদাওয়া করে কিছু দূর হেঁটে আমি বড় ভাইয়ের বাড়ি পৌঁছালাম ও বিলেতে আমার জীবনের প্রথম রাত্রিযাপন করলাম।
লেখক: ব্যারিস্টার এট ল, নর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, লন্ডন।
ঢাকা/সাফায়েত/মাহি
আরো পড়ুন