ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যে কারণে তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে সেকেন্ড হোম

হিরা খালিদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:৪৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
যে কারণে তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে সেকেন্ড হোম

আমি হিরা খালিদ, চীনে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছি। প্রতিনিয়তই আমি দেখতে পাচ্ছি যে, চায়না নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। তারা চেষ্টা করছে, তাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার পরিচিতি ও তাদের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক স্থাপন করতে।

চীন সরকার তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি এবং প্রসারের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও বৃত্তি প্রদান করছে। এতে তাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার সারাপৃথিবীতে ছড়ানোর একটি সুন্দর চেষ্টা করছে চীন।

সেখানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অদম্য পরিশ্রম করছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সমান অভিজ্ঞতা ও তাদের রিসোর্সগুলোতে অ্যাক্সেস দিতে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ও চায়নিজ শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ভেদাভেদ কমে এসেছে ও তাদের পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো চিন্তাধারা পরিবর্তন করে এগিয়ে জেতে হবে। 

চীন দেশটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রোগ্রাম চালু করার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

যেসব প্রোগ্রাম ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হয়ে থাকে, সেগুলোর জন্য আরও দক্ষ প্রফেসর ও লেকচারার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি লিটারেচার ক্লাবের ব্যবস্থা ও কার্যক্রম আরও বাড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থী এবং প্রফেসরদের মধ্যে গ্রুপ মিটিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চীনের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইংরেজিতে যোগাযোগ অনেকটা উন্নত ও সাবলিল হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চাইনিজদের সঙ্গে যোগাযোগে সমস্যা কমে আসছে ও বন্ধুত্ব গড়ে উঠছে।

আমার চায়নায় পড়াশোনা করার সময়কালে আমি তাদের অনেক কালচারাল প্রোগ্রাম উপভোগ করেছি ও তাদের অনেক নিজস্ব খেলাধুলা আমি শিখে খেলতে সক্ষম হয়েছি। এটা আমার জীবনের নতুন ও আনন্দময় শিক্ষায় পরিণত হয়েছে।

চায়না অনেক সুন্দর ও বিচিত্রময় দেশ। আমি মনে করি, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় আমার সেকেন্ড হোম (বাড়ি)। আমি আজ জীবনে যতটুকু এগিয়ে এসেছি, সেটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তিয়াঞ্জিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সেখানকার সম্মানিত প্রফেসরদের।

আমি আমার সব বন্ধুবান্ধব ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেবো, চায়নায় পড়াশোনা করতে গিয়ে নিজের জীবনটা ভালোভাবে উপভোগ করতে।

লেখক: শিক্ষার্থী, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়, চীন।  

ঢাকা/সাফায়েত/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়