ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

লন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন (পর্ব-৪)

রিয়াদ আরেফিন রিমন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ৯ জানুয়ারি ২০২১  
লন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন (পর্ব-৪)

সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস। বাসা থেকে পায়ে হেঁটে যেতে ২০ মিনিট সময় লেগেছিল, ভেবে দেখলাম প্রথম দিন একটু আগে গিয়ে গল্পে মেতে ওঠা উচিত। ঠিক করলাম ১ ঘণ্টা আগে রওনা দেবো। কিন্তু নিজেকে প্রস্তুত করতে গিয়ে প্রায় ২০ মিনিট সময় নষ্ট করে ফেললাম।

তাড়াতাড়ি বেরিয়ে রাস্তায় যেতে না যেতে মনে পড়লো, রুমের দরজাটা তালা দিয়ে বন্ধ করে আসিনি। ফিরে গিয়ে দেখলাম দরজা ঠিকঠাক বন্ধই আছে, বুঝতে পারলাম মনের ভুল হয়েছে। বেরিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর পুনরায় খেয়াল করলাম, আইডি কার্ড ফেলে রেখে এসেছি। ওই মুহূর্তে নিজের উপর খুব বেশি রাগ হয়েছিল। দৌড়ে আবার রুমে ফেরত গিয়ে আইডি কার্ড নিয়ে খুব হাঁপানো অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত হই।

ক্লাসরুমে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১ মিনিট পর আমার আগমন হলো। গিয়ে দেখলাম শিক্ষক চলে এসেছেন, আমি খুব ভয় পেলাম, প্রথম দিনই আমি সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছি। বিনয়ের সঙ্গে ক্লাসে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম, কিন্তু শিক্ষক আমার দিকে তাকালেনও না। তখন বুঝতে পারলাম ডিজিটাল হাজিরা দেওয়ার ব্যবস্থাটির কার্যকারিতার ব্যাপারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময়েই আমার কার্ড রিড হয়ে গিয়েছিল মেশিনে, ধারণা করতে পারলাম, যা ঘটবার তা ঘটে গিয়েছে।

ক্লাসে প্রবেশ করে সবাইকে পরিচয় দিলাম যে, আমি সেখানে নতুন শিক্ষার্থী। সবাই আমাকে হাত তুলে মুঁচকি হেসে হাই দিলো। আমি ক্লাস রুমের পেছনের বেঞ্চে গিয়ে বসলাম। খেয়াল করে দেখলাম যে ক্লাসে মাত্র ৭ জন পুরুষ শিক্ষার্থী, আর বাকি যারা আছে সবাই মেয়ে। আমি মনে মনে খুব বেশিই খুশি হয়ে গেলাম। প্রথম দিন আমার কাছে খাতা-কলম কিছুই ছিল না, তাই পাশের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে খাতা-কলম নিলাম।

তারা প্রত্যেকেই খুব বন্ধুসুলভ আচরণ করলো। ক্লাস শেষে সবাই আমার সঙ্গে পরিচয় হলো ও তারা আমাকে অনেক সহযোগিতা করতে লাগলো। ক্লাস শেষে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই বাসায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিলাম।

লেখক: ব্যারিস্টার এট ল, নর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, লন্ডন।

ঢাকা/সাফায়েত/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়