ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাবিতে ‘খৈলান পালা’

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ১৩ মার্চ ২০২১  
রাবিতে ‘খৈলান পালা’

এক সময় গ্রাম্য সংস্কৃতিতে ‘খৈলান পালা’ বেশ জনপ্রিয় ছিল। গ্রামের বাড়িতে উঠোনে উঠোনে এ ধরনের পালা প্রদর্শিত হতো। সাধারণত গ্রামের দিনমজুর কিংবা খেটে খাওয়া শ্রমিকরা দল বেধে কুশান গান করে বেড়াতেন। এজন্য তাদের কুশানী শিল্পী বলা হয়। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ এই সংস্কৃতি।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তপ্রায় এ সংস্কৃতি ধরে রাখতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ‘খৈলান পালা’। উন্মুক্ত বা খোলা জায়গায় এ ধরনের পালা প্রদর্শিত হওয়ায় একে ‘খৈলান পালা’ বলা হয়। কুশান শিল্পীদের সুখ-দুঃখকে উপজীব্য করে নির্মিত এই নাটকটি আগামী রোববার (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে প্রদর্শিত হবে।

গাইবান্ধার সারথি থিয়েটারের প্রযোজনায় একটি আনর্ত-অন্তর্বর্তী আয়োজন এই ‘খৈলান পালা’। জুলফিকার চঞ্চলের নির্দেশনায় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজুর ব্যবস্থাপনায় মঞ্চায়িত হবে এ নাটক।

নাটকের ব্যবস্থাপক অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, ‘কুশান শিল্পী নামের এক ধরনের শিল্পী ছিলেন। যারা বিভিন্ন জায়গায় কুশান গান করে বেড়াতেন। তাঁরা এ গান করে জীবনযাপন করতেন। তাদের বিভিন্ন দল এখন আর নেই। তাদের বিপর্যস্ত জীবন কাহিনী ও কীভাবে তারা সামাজিকভাবে বঞ্চিত হলো সেইসব দেখানো হবে এ প্রদর্শনীতে। শিল্পীদের জীবনের ট্রাজেডি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই পালায়।’

প্রদর্শনীর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যখন সারা দেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। তখন এ সময়ে আমরা সাংস্কৃতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছি। তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে থিয়েটার চর্চার জন্য এ ধরনের আয়োজন। দীর্ঘ দিন মানুষ ঘরে অবস্থান করে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত জায়গায় এ আয়োজন। যাতে সবাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যার যার অবস্থান থেকে পালাটি উপভোগ করতে পারেন। যেন একই সাথে নাটক ও সাংস্কৃতির চর্চা চলুক।’

রাবি/সাইফুর/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়