ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পর্তুগাল হচ্ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন সম্ভাবনা 

মো. মঈন উদ্দিন সাব্বির  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১০ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১১:১৩, ১০ এপ্রিল ২০২১
পর্তুগাল হচ্ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন সম্ভাবনা 

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগালের নাম তেমন বেশি উচ্চারিত হয় না। তবে শিক্ষার মান, বাৎসরিক টিউশন ফি, আবাসন সুবিধা, শিক্ষার্থীদের আয়ের সুযোগ এবং পড়ালেখা শেষ করে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে পর্তুগাল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম সেরা পছন্দের দেশ। বর্তমানে পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।

পর্তুগিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া তাদের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় পৃথিবীর সব দেশেই তা গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া শিক্ষাজীবন শেষে সহজেই মেলে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ। তাই বলা যায়, দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। 

কী কী বিষয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাওয়া যায়?

এখানের শিক্ষাব্যবস্থা দু’ভাবে সজ্জিত, একটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ও আরেকটি পলিটেকনিক। পাবলিক এবং প্রাইভেট দু’পর্যায়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০১৮ সালের কিউএস লিস্ট অনুযায়ী পর্তুগালের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় স্থান পেয়েছিল।
এদেশে জাতীয় ভাষাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাই পর্তুগীজ ভাষায় পাঠদান করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু কোর্সে ইংরেজিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস স্কোর থাকা বাঞ্ছনীয়। ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক শাখার সকল বিষয়গুলোতেই পড়ার সুযোগ রয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুযায়ী কোর্সগুলোর তারতম্য হতে পারে। 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার অ্যান্ড সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিকস, ফিন্যান্স, ল’ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক রিলেশন স্ট্রাটেজিক ম্যানেজমেন্টসহ রয়েছে আরও অনেক অনেক বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ। তাছাড়া গবেষণার জন্য রয়েছে বহু রিসার্চ সেন্টার।

টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেদে বার্ষিক ১৫০০ ইউরো থেকে শুরু করে ১৫০০০ হাজার ইউরো পর্যন্ত টিউশন ফি রয়েছে। স্কলারশিপের উপর ভিত্তি করেও একজন শিক্ষার্থীর টিউশন ফি কমবেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া একজন শিক্ষার্থী আবাসন, খাবার ও যাতায়াতে খাতে ৪০০-৫০০ ইউরো দিয়ে অনায়াসে চলতে পারেন। 

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ সুবিধা

Erasmus mundus Scholarship, FCT Scholarship, University Internal Scholarship এর মতো নামকরা স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। 

কাজের সুবিধা

এখানে মূলত সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। তবে কেউ যদি কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করতে পারেন যে তার কাজ ও পড়ালেখার সময় একে-অপরের সঙ্গে সাংঘার্ষিক নয়, তবে তিনি ফুলটাইম কাজের অনুমতি পেতে পারেন। কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ এবং যোগ্য কর্মীরাই প্রাধান্য পেয়ে থাকেন। দেশটিতে আইটি সেক্টরে বেশ গুরত্ব দেওয়া হয়। তাই কেউ যদি আইটিতে দক্ষ হতে পারেন, তাহলে কাজের দুয়ার তার জন্য সহজেই খুলে যেতে পারে। 

স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ

এদেশে বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারলে পাওয়া যাবে ৫ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা। সফলভাবে বসবাস করতে পারলে পাওয়া যায় স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন সুযোগ।

ঢাকা/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়