ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

একাডেমিক প্রোফাইল তৈরি করবেন যেভাবে

শামীম শরীফ রোমেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১৩ এপ্রিল ২০২১  
একাডেমিক প্রোফাইল তৈরি করবেন যেভাবে

উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যারা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক, তাদের বেশ কার্যকরী একটি একাডেমিক প্রোফাইল থাকা জরুরি, নয়তো আবেদনের পর সেটা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। 

একাডেমিক প্রোফাইল হচ্ছে আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের সন্নিবেশ, যা দেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে সুযোগ দিতে আগ্রহবোধ করবে। তাছাড়া ভালো সাবজেক্ট এবং স্কলারশিপ পেতেও শক্ত একটি একাডেমিক প্রোফাইল থাকতে হয়। তাই আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই ডিগ্রি অর্জনে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে আপনার প্রোফাইল তৈরিতে হতে হবে বেশ মনোযোগী। 

একটি কমপ্লিট প্রোফাইলের জন্য মূল যে উপাদানগুলো দরকার, সেগুলো হচ্ছে-  

১. একটি অনার্স ডিগ্রি, সিজিপিএ ৩.০০ হলে ভালো। 

২. GRE/GMAT স্কোর। GRE-তে স্কোর অন্তত ৩০০ রাখা উচিৎ।

৩. TOEFL/IELTS স্কোর। TOEFL স্কোর অন্তত ৮০ অথবা IELTS স্কোর অন্তত ৬.৫ রাখা উচিৎ।

৪. স্টেটমেন্ট অব পারপাস

৫. রিকমেন্ডেশন লেটার। বড়জোর তিনটি লাগতে পারে, তাই অনার্সের শুরু থেকেই শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা উচিৎ।

৬. সিভি/রেজুমি 

উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়া আরও কিছু বিষয় রয়েছে, যা আপনার প্রোফাইল আরও বেশি শক্ত করতে কার্যকরী। সেগুলো হলো-  

১. পাবলিকেশন (বিষয় সম্পর্কিত কোনো লেখা যদি পাবলিশ হয়ে থাকে)

২. চাকরি/ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা

৩. টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের অভিজ্ঞতা 

৪. প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা  

৫. যে বিষয়ে পড়তে চান সেই বিষয় সম্পর্কিত সফটওয়্যারগুলো অপারেট করার জ্ঞান 

৬. ভালো যোগাযোগ দক্ষতা

৭. যে বিষয়ে ডিগ্রি নিতে/রিসার্চ করতে ইচ্ছুক, সে সম্পর্কে ভালো ধারণা।

পাবলিকেশন কিংবা গবেষণার অভিজ্ঞতা ভর্তি আবেদনের ক্ষেত্রে মূল উপাদান নয়। তবে, গবেষণা অভিজ্ঞতার বিকল্প কিছু হয় না। সত্যি বলতে, যার লক্ষ্য উচ্চশিক্ষা, তার জন্য অনার্সে থাকা অবস্থাতেই সুযোগ থাকলে এই অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করা উচিৎ।

কম সিজিপিএ থাকলে 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিটি কোর্সের আবেদনের চাহিদাগুলো একেক রকম হয়ে থাকে। সব উপাদান বিবেচনা করেই এডমিশনের সুযোগ দেওয়া হয়। সিজিপিএ যদি কম থাকে, তাহলে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগী হতে হবে। তবে সিজিপিএ ৩.০০ থাকলেই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ৯০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের যোগ্যতা আপনার আছে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলো ৩.০০ এর কম সিজিপিএ গ্রহণ করে। কাজেই, কেউ যদি আপনাকে বলে-কম সিজিপিএধারী বলে আপনি উচ্চশিক্ষায় বাইরে যেতে পারবেন না, তাহলে তার কথা তখনই উড়িয়ে দিন। 

উল্লেখ্য, কম সিজিপিএ থাকলেও ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ও ভালো কোর্সে সুযোগ পাওয়া যায়, তবে ভালো সিজিপিএর বিকল্প কিছু নেই। 

যদি স্টুডেন্ট থাকা অবস্থাতেই বুঝে যান আপনার পক্ষে কিছুতেই সিজিপিএ ৩.০০ এর উপরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তাহলে তখন থেকেই দীর্ঘ সময় নিয়ে GRE এর প্রস্তুতি নিন, যেন ভালো স্কোর করতে পারেন। চেষ্টা করুন দু’একটা পাবলিকেশন করতে। 

শিক্ষকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে তার অধীনে টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিন। বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করে স্কিল অর্জনের চেষ্টা করুন।

সাব্বির/মাহি  

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়