রাবিতে যোগদানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা নিয়োগপ্রাপ্তদের
রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মস্থলে যোগদান করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন এডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে আমাদের নিয়োগকে ‘অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত’ আখ্যা দিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২(৫) ধারা অনুযায়ী, এই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলার কোনো সুযোগ নেই। নিয়মানুযায়ী, এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণার আগে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের উপরোক্ত ধারা বাতিল করা উচিত ছিল।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাত শতাধিক পদ দীর্ঘ দিন যাবত শূন্য রয়েছে। আমরা উক্ত শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারেননি। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান গত ৫ মে ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১২(৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে শূন্য পদের বিপরীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ১৩৮ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৮ মে দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আব্দুস সালামকে দিয়ে আমাদের যোগদানের চলমান প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেছে। আমাদের জানামতে, নিয়মিত উপাচার্যের প্রদানকৃত নিয়োগ, দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য স্থগিত করতে পারেন না।’
এ নেতা আরও বলেন, ‘১৯৭৩ এর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে এডহক নিয়োগ একটি বৈধ প্রক্রিয়া। অতীতে প্রায় সকল প্রশাসন-ই এডহক ভিত্তিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার পরও চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে এডহক ভিত্তিতে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এডহক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ২০০৯ সালেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে নিজ অধ্যাদেশ বলে এডহক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন ও রায়হান মাসুদ, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদীন, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন, সহ-সভাপতি মো. ফারুক হাসান, সাবেক ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক টগর মো. সালেহ।
সাইফুর/মাহি
আরো পড়ুন