ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অনলাইনে ফি পরিশোধে ভোগান্তিতে জবি শিক্ষার্থীরা

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ১৬ জুন ২০২১   আপডেট: ১৪:১০, ১৬ জুন ২০২১
অনলাইনে ফি পরিশোধে ভোগান্তিতে জবি শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ১০ আগস্ট থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরইসঙ্গে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯ জুনের মধ্যে অনলাইনে পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো নোটিশ দিয়েছে। 

তবে ভর্তি ফি জমা দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম শিওর ক্যাশ এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না ঢাকার বাইরে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থানরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ফলে ভর্তি ফি পরিশোধ করতে পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা।

২০১৭ সালের শেষের দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পরীক্ষার ফিসহ সব ফি পরিশোধের জন্য রূপালী ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং সেবা শিওর ক্যাশ মাধ্যমে টাকা জমাদানের সুবিধা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সবশেষ এ বছরের ১ এপ্রিল ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নগদের সঙ্গে বেতন ও পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় ফি প্রদান করতে চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নগদ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সব জায়গায় এর বিস্তৃতিসহ স্বল্প খরচে শিক্ষার্থীরা ফি দিতে পারবে বিধায় এ অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমটি বেছে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সেবাটি এখনো চালু না হওয়ায় ফি দিতে শিওর ক্যাশ ব্যতিত শিক্ষার্থীদের বিকল্প কোনো উপায় নেই।

দীর্ঘ ছুটি ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে। বিভাগ থেকে ফি পরিশোধের নোটিশ দেওয়ায় অনলাইনে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও পরীক্ষার ফি দিতে হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে বিকাশ, রকেট, নগদ এজেন্ট সহজে পাওয়া গেলেও শিওর ক্যাশ এজেন্ট পাওয়া যায় না বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী। 

ভোগান্তিতে পড়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন জীবন বলেন, আমি করোনাকালীন সময়ে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছি, কিন্তু সেমিস্টারের ভর্তির ফি দিতে উপজেলা পর্যায়ের অনেক দোকানে ঘুরেও শিওর ক্যাশ এজেন্ট পাইনি। ফলে আমার পেমেন্টটি করতে পারিনি। 

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান রতন বলেন, আমি অনেক দোকানে গিয়েও পেমেন্ট করতে পারিনি, শেষে ঢাকায় এক বন্ধুকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে পেমেন্ট করে নিয়েছি।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, শুনেছি নগদের মাধ্যমে বিল পে করতে পারবো কিন্তু নগদের মাধ্যমে বিল পেমেন্টে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামই নেই।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে। এখানে বিকাশ, রকেট ছাড়া অন্য কোনো সেবাই পাচ্ছি না। তাই আমার একজন সহপাঠীর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করার জন্য তার কাছে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি। আমার মতো অনেকেই এ সমস্যায় পড়েছে।

এ বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের সাথে নগদের চুক্তি হয়ে গেছে। এখন আইটি দপ্তরের কিছু কাজ বাকি আছে, সেগুলো সম্পন্ন হলে নগদে বেতন, পরীক্ষার ফিসহ অন্যান্য পরিশোধযোগ্য ফি দেওয়া যাবে৷ এখন শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ফি নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক অ্যান্ড আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজ মোটামুটি কমপ্লিট, এখন নগদের কিছু কাজ বাকি আছে, তাদের কাজ শেষ হলে বলতে পারবো কবে থেকে শিক্ষার্থীরা ফি দিতে পারবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, যদি কোথাও এজেন্ট খুঁজে না পাওয়া যায়, আামাদের বা বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে অভিহিত করলে আমরা অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা নেবো।

সৌদিপ/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়