চুয়েটে বর্ষাবরণ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আষাঢ়ের প্রথম দিন আনন্দঘন পরিবেশে বর্ষাবরণ করা করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ‘১৯ আবর্তের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘স্থাপত্যে বর্ষা’ শিরোনামে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠান হয়। 

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়েট স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি শ্রী কানু কুমার দাশ, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মৈনাক ঘোষ, আইএবি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের কোষাধ্যক্ষ স্থপতি বিজয় তালুকদার, চুয়েট স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন শ্রী কানু কুমার দাশ। এরপর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করেন ‘১৭ আবর্তের রীতিকা বিশ্বাস, ফারিয়া মতিন সানজিদা, মৌমিতা অধিকারী, ‘১৮ আবর্তের ফৌজিয়া আফরোজ বুশরা, শাহারিয়ার মাহমুদ তামজীদ, ‘১৯ আবর্তের মানতাকা জুননুরাইন আদৃত, স্বর্ণা বনিক পাপিয়া। 

নৃত্য পরিবেশন করেন ‘১৭ আবর্তের ফাইজা আলম নুহি, ‘১৯ আবর্তের সুমাইয়া নাফিস রাফা এবং অনিন্দিতা দাশ এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন নাজিফা আনজুম।

অন্যতম আকর্ষণ ছিল স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকদের অসাধারণ সব পরিবেশনা। আবৃত্তি করেছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুস্তাফিজ আল-মামুন এবং একক গান পরিবেশন করেন সহকারী অধ্যাপক দেবশ্রী মন্ডল এবং অমিত ইমতিয়াজ। একক পরিবেশনার পরপরই উপস্থিত সব শিক্ষকের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘এই মেঘলা দিনে একলা’ গানটি, যা অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। 

এপর্বটি সঞ্চালনা করেন স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাজিয়া রহমান। এরপর ‘১৬ আবর্তের ওমকার দত্ত জয় তার নিজের লেখা ইতিহাসভিত্তিক একটি কবিতা পাঠ করেন। 

শেষে বর্ষাভিত্তিক চুয়েটের স্থিরচিত্র নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন ‘১৯ আবর্তের শর্মিষ্ঠা রায়। এর মাধ্যমে যেন নতুন করে উপস্থিত সবাই নিজের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আকুলতা অনুভব করেন। 

পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্থাপত্য ‘১৯ আবর্তের দীপ্তিমান দাশ, জারিন তাসনিম রোদশি, মানতাকা জুননুরাইন আদৃত, নাজিফা আনজুম ও ফারদিন হাসান আবিদ।