বাবাদের প্রতি ভালোবাসা
ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বিশ্ব বাবা দিবসে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর উদ্যোগে খেটে খাওয়া রিকশাচালক ৫০ জন বাবাকে উপহার দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ জুন) বৃষ্টির মৌসুমে রেইনকোট, মাস্ক এবং ভালবাসার একটি গোলাপ ফুল উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
সন্তানের প্রয়োজনে ভালো একটা স্মার্টফোন কিনে দিলেও দিন শেষে কোনোরকমে একটা ফোন দিয়েই যাদের চলে, রাস্তায় রিকশা না নিয়ে হেঁটেই পারি দিয়ে ফেলতে পারেন যিনি, নিজে না খেয়ে সন্তানের জন্য যে মানুষটি খাবার রেখে দিতে পারেন, ঈদে সবাইকে নতুন জামা দিলেও নিজের পুরনো পাঞ্জাবিট্ দিয়েই যিনি ঈদ করতে পারেন, আমাদের জীবনের এই অদ্ভুত চরিত্রটি যিনি, তার নাম 'বাবা'। যার কাছে জুড়ে থাকে সন্তানের সমস্ত আবদার।
মূলত বাবাদের ভালবাসাটা চাপা পড়ে যায় বাস্তবতা, চাহিদা, যান্ত্রিকতার মাঝেই। সমাজে ধনী গরিব নির্বিশেষে বাবারা থাকেন সংসারের উপর বটবৃক্ষের ছায়ার মতো করে। জীবনে যাই হয়ে যাক না কেনো আস্থার জায়গাটা জুড়ে সবসময়ই থাকেন বাবারা। যেকোনো ব্যপারে মনে একটা ভরসা থাকেই, ‘বাবা আছে, কিছু হবে না’। শক্ত আচারের কৌটার মুখ খুলে দেওয়া থেকে ছেলেবেলায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, সব কিছুর সঙ্গেই থাকেন বাবারা। বাবার উপর আমাদের নির্ভরশীলতার জায়গাটি সেখানেই। দিনশেষে এতো ত্যাগের পরে তাই একটা ধন্যবাদ অবশ্যই এই মানুষটার প্রাপ্য।
এ উদ্যোগের আয়োজকরা বলেন, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও নিরাপদে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই বাবাদের। তাই বাবাদের যেন বৃষ্টির পানিতে ঠান্ডা থেকে বাঁচানো যায়, এটিই ছিল আমাদের ক্ষুদ্র একটি প্রচেষ্টা। আজ এই বৃষ্টিতে আমরাও তাদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে পালন করলাম এক অন্যরকম বাবা দিবস। কারণ, ‘আজকের দিনটি শুধুই বাবাদের’।
ঢাকা/সিনথিয়া
আরো পড়ুন