ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি যেতে চান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

মোহাম্মদ রায়হান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১২ জুলাই ২০২১  
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি যেতে চান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

কোরবানির ঈদের আর অল্প কয়েকদিন বাকি। এদিকে সারাদেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। সব শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে রীতিমতো লকডাউনের কবলে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও। ঈদে স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় এই কলেজের অনেক শিক্ষার্থী। 

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাবিপ্রবি ও কুবিসহ দেশের বেশ কয়টি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে ক্যাম্পাসের বাসগুলো। প্রশাসন চাইলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে, এতে শিক্ষার্থীদের করোনার ঝুঁকি কমবে।   

এসম্পর্কে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, গেলো রমজানের ঈদেও বাড়ি যেতে পারিনি গণপরিবহন বন্ধের কারনে। অন্য কোনো মাধ্যমে চেষ্টা করিনি স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বিবেচনায়। এবার ঈদেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং কঠোর লকডাউন।  এজন্য সাহস পাচ্ছি না বাইরে যাওয়ার। এদিকে মেরুদণ্ডে ব্যাথার চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। ঢাকায় একলা থেকে যা করা একদম সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় কলেজ প্রশাসন যদি ক্যাম্পাসের বাসে করে আমাদের গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে, তাহলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

আব্দুল্লাহ হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফেনী। গত বছরের আগস্ট থেকেই রয়েছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, যদি কলেজ বাসগুলো আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, বিষয়টা মন্দ না। অনেকেরই টাকা-পয়সার সমস্যা আছে, করোনা সংক্রমণের ভয় আছে।  এক্ষেত্রে ক্যাম্পাসের গাড়ি পৌঁছে দেওয়া মানে একটা নিরাপদ সফর।

শাহরিয়ার আবু হাসেম নামের আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, একদিকে তো এখন পর্যন্ত যানবাহন চলছে না, প্রাইভেটকারে যেতে আনুমানিক জনপ্রতি ২০০০ টাকার মতো লাগছে। এদিকে করোনা।  সব মিলিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ারও ভয়ের ব্যাপার।  সেক্ষেত্রে যদি কলেজ বাসগুলো আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করতো, উপকৃত হতাম। 

ক্যাম্পাসের বাসে শিক্ষার্থীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব কিনা, বা  পৌঁছে দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা, এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, বাস চলবে কিনা তা সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করছে। মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলেই আমাদের বাসও চলবে। 

আপনার সুপারিশে মন্ত্রণালয় থেকে আশানুরূপ নির্দেশ আসতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আশরাফ হোসেন বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারই আমাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। এবং উনার মাধ্যমে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ এলেই আমরা বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারি। 

এই ব্যাপারে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাস চলাচলের ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। এবং তিনি বলেন, নিজস্ব কলেজ বাসের ব্যাপারে স্ব স্ব কলেজের অধ্যক্ষরাই ভালো জানেন।

ঢাকা/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়