ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাঞ্ছারামপুরের মেয়েরা 

সোহাগ মনি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১৭ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৫:১৪, ১৭ জুলাই ২০২১
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাঞ্ছারামপুরের মেয়েরা 

ফাইল ফটো

পায়ে বল আর দু’চোখে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন। কোনো একসময় আন্তর্জাতিক মাঠে নিজেদের পা ফেলতে সবটুকুই উজার করে দিচ্ছেন তারা। বলছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একঝাঁক তরুণীর কথা। স্কুল পড়ুয়া এই তরুণীরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলার মাঠেও নিজেদের উপস্থাপন করেছেন এক ভিন্ন মাত্রায়। ফুটবল খেলায় একের পর এক শিরোপা জয়ে বাঞ্ছারামপুরকে পরিচিত করেছেন সারাদেশে। নিয়মিত অনুশীলন আর খেলার প্রতি ভালোবাসা তাদের এত দূর নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিজ্ঞ মহল।

এইতো কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-ইউনিসেফ জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ (অ-১৬) ২০২০-২১ এ বাঞ্ছারামপুরের এই তরুণীরা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সম্প্রতি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ এর জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাঞ্ছারামপুরের মেয়েদের এই দল। এর আগে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাঞ্ছারামপুর। 

এমন সব সাফল্যের পেছনে কারা কাজ করছেন? বাঞ্ছারামপুরে ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম ফুটবল ক্লাব, তরুণীরা এই ক্লাবেরই খেলোয়াড়। সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে এই ক্লাবটি কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত অনুশীলনসহ জাতীয় পর্যায়ে খেলতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ধারক বাহক এই ক্লাবটি। স্থানীয় সাংসদ ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলামের হাত ধরেই বাঞ্ছারামপুরের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে যাত্রা এই ক্লাবটির। 

ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম বলেন, আমি চাইনা আমাদের মেয়েরা পিছিয়ে থাকুক; খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সারাবিশ্বে জানান দিক এই তরুণীরা, তারা পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম ফুলবল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মীর রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মেয়েরা তাদের কৃতিত্ব সারা দেশকে দেখিয়েছে, এদের ভেতরে স্পৃহা আছে অনেক। আমরা চেষ্টা করছি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করে তুলতে।

যাদের পায়ের জাদুতে এত শিরোপা বাঞ্ছারামপুরের দখলে, তারা হলেন- রত্না আক্তার, তিশা রাণী দাস, নূর নাহার আক্তার, কল্পনা আক্তার, শাপলা আক্তার, আয়েশা আক্তার, মনিকা আক্তার, রুপালী রাণী দাস, রিয়া আক্তার, সালমা আক্তার, আরিফা আক্তার, পূজা রাণী দাস, সুমাইয়া আক্তারসহ আরও অনেকে।

দলের একাদশে থাকা সালমা আক্তার বলেন, ছোটবেলায়ই খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল, কিন্তু এভাবে যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে খেলতে পারবো কল্পনাও করিনি। স্বপ্নটা অনেক বড় হয়েছে এখন, একদিন জাতীয় দলে খেলতে পারবো আশা করি।

ফুটবল ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম তুষার বলেন, বাঞ্ছারামপুরের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে যা যা করার প্রয়োজন আমি করবো, তারাই একদিন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবে, সেই বিশ্বাস আমার আছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া/মাহি  

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়