ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্ধু আয় ফিরে আয়

মুঈন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৩ আগস্ট ২০২১  
বন্ধু আয় ফিরে আয়

সাদা-কালো ফ্রেমে বন্ধুত্ব

স্বার্থহীন, অপার্থিব এক মূল্যবান সম্পর্ক যেন বন্ধুত্ব, যেখানে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি বন্ধুত্বের সম্পর্ককে প্রতি মুহূর্তে করে চিরসজীব, চিরনবীন।

জানা-অজানা কষ্টে যখন মন ভারী হয়ে যায়, তখন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করে কমিয়ে নেওয়া যায় কষ্টটুকু। আনন্দে মন যখন উড়ুউড়ু, চারদিকে যখন আনন্দ অনুভুতি, সেটাও দ্বিগুণ বাড়িয়ে নেওয়া যায় বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করেই। বন্ধু ছায়ার মতো নয় যে অন্ধকারে হারিয়ে যায়, বন্ধু যেন ওই আত্মাটাই, যে ধারণ করে ওই মানুষটাকেই। বিপদে-সুখে প্রতি মুহূর্তে পাশে থেকে বলে ‘আমি তো আছি’।

এলাকাভিত্তিকভাবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও আমাদের বন্ধুত্বটুকু মূলত পূর্ণতা পায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। একক্লাসে পড়া, একসঙ্গে একটা বড় সময় পার করার সুবাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই আমরা খুঁজে পাই আমাদের আত্নার অংশ বা বন্ধুদের।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রায় দেড় বছর। এই দেড় বছরে প্রায় সবাই চলে গেছে নিজ নিজ এলাকায়। বন্ধুত্বটা গত দেড় বছর আটকে আছে অনলাইনেই। কিন্তু সিঁড়িতে বসে, টঙ দোকানে ধোয়া ওঠা গরম চায়ের আড্ডায় যে বন্ধুত্ব, সে বন্ধুত্ব কি অনলাইনে পূর্ণতা পায়? ক্লাস শেষে একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে জীবনের গল্প বলা যাদের সাথে, যাদের চোখের দিকে তাকালে তারা বুঝে যায় দুঃখ, কষ্ট কিংবা আনন্দ, তাদের সাথে কি প্রযুক্তির অনলাইন চ্যাটে কথা বলে প্রশান্তি পাওয়া যায়? যায় না।

তাইতো খুব শিগগিরই সবাই ফিরতে চাই বন্ধুদের কাছে। হাঁটতে চাই একসঙ্গে, আড্ডা দিতে চাই টঙ দোকানে, কিংবা কোনো সবুজ ঘাসের উপর বসে, যেখানে নীরব আবেগগুলো ফুটে ওঠে চোখের চাহনিতে। ফিরতে চাই বন্ধুদের কাছে, আমাদের পুরনো ক্যাম্পাসে।

লেখক: শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সৌদিপ/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়