বাকৃবিতে ভর্তি পরীক্ষায় কিছু বিড়ম্বনা
আতিকুর রহমান, বাকৃবি || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মোট ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়।
পরীক্ষা শুরুর আগে ও চলাকালীন সময়ে রাস্তাঘাটে যানজট, প্রবেশ পত্রে পরীক্ষার ভবনের ভুল নাম প্রকাশ, কক্ষে দেয়াল ঘড়ি না থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার আগ মুহূর্তে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে অনেক শিক্ষার্থীর সময়মত পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, বিভিন্ন পরীক্ষার কক্ষে দেয়াল ঘড়ি না থাকায় সময় নিয়ে তারা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাসে ভবনের নাম ভূল থাকায় আসন খুঁজে পেতে কিছু শিক্ষার্থী বিপাকে পড়ে যান। হলগুলোতে গাদাগাদি করে এক কক্ষে অনেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। ফলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে বলেও জানা যায়।
ভর্তিচ্ছু আরমান শরিফ নামের এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘১২টায় আমার পরীক্ষা ছিল। তীব্র যানজটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে হেঁটে আসতে গিয়ে হলে পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে পৌঁছেছি। এতে মানসিক চাপ নিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে এবং জব্বার মোড়ে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে আমি নিজে গিয়ে সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি। কিছু কিছু শ্রেণিকক্ষে অনেকদিন ক্লাস না হওয়ায় হয়ত দেয়াল ঘড়ির সমস্যা থাকতে পারে। ক্যাম্পাসে আমাদের সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ছিল। আসন খুঁজে পেতে কোনো পরীক্ষার্থীর সমস্যা হয়েছে বলে জানা যায়নি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির মানার বিষয়টি আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা করেছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না।’
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে সব পরীক্ষা কক্ষে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছি। কোথাও কোনো প্রশ্ন ফাঁস বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখা থেকে জানা যায়, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৫‘শ ৩৯ টি। এতে অংশ নেয় ১০ হাজার ৮‘শ ১জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী। উপস্থিতির হার ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
আতিকুর/মাহি
আরো পড়ুন