বিদ্যুতের বাণিজ্যিক মিটারের অবসান হচ্ছে হাবিপ্রবি সংলগ্ন মেসে
তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবি || রাইজিংবিডি.কম
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবসান ঘটতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সংলগ্ন মেসের বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সাথে আবাসিক হল গড়ে না ওঠায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাঁশেরহাট এলাকায় গড়ে ওঠে মেস বাণিজ্য। বাজার এলাকায় মেসে শিক্ষার্থীরা বসবাস করলেও দিতে হতো বাণিজ্যিক রেটে বিদ্যুৎ বিল। যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দুই শতাধিক মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করতো পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। একাধিকবার হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও সুরাহা হয়নি এই সমস্যার। এতে বিপাকে পড়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে বিল দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক বিলের চেয়ে প্রায় তিন/চারগুণ বিল দিতে হতো। অবশেষে হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সমাধান হতে চলেছে এ সমস্যা।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ।
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সমস্যা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসের বিদ্যুৎ বিল আবাসিকীকরণ কাজ এরইমধ্যেই শুরু হয়েছে। মেসের তথ্যাদি পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। এরইমধ্যে একটি ফরমে মেসগুলোর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ। আশা করছি অক্টোবর মাস থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা আবাসিক বিদ্যুৎ বিলের সুবিধা পাবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেস মালিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে আকস্মিকভাবে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের মেসগুলোকে বাণিজ্যিকীকরণ করে দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরা মেস মালিকরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। বিভিন্ন সময় দফায় দফায় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে আলোচনা করেও সমাধান হয়নি এই সমস্যার। অবশেষে হাবিপ্রবি উপাচার্যের হস্তক্ষেপে এ সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।’
বিদ্যুৎ বিলের সমস্যার সমাধান হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান উপাচার্য মহোদয় যে শিক্ষার্থীবান্ধন তিনি তা পুনরায় প্রমাণ করলেন। হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করার জন্য।’
/মাহি/
আরো পড়ুন