ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সেশনজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বশেমুরবিপ্রবি ভিসি 

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২১  
সেশনজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বশেমুরবিপ্রবি ভিসি 

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে সৃষ্ট সেশনজট থেকে উত্তোরণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে উন্মোক্ত আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) একাডেমিক ভবনের ৬ তলায় এক মতবিনিময় সভা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. শারাফত আলী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আবু সালেহ, বিলবসের সহকারী অধ্যাপক ড. হাসিবুর রহমান। 

শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসনে ৪ মাসে সেমিস্টার (ফাইনাল) পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট, যথাযথ ল্যাবের সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 
একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এসময় বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, অনুষদ ও বিভাগের স্নাতক ১ম বর্ষ থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তরের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থীরা নানাবিধ সমস্যার কথা উপস্থাপন করেন।

সমাপনী বক্তব্যে সেশনজট নিরসনের রোড ম্যাপের বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেজাল্ট ও সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করে সেশনজট নিরসনের ক্ষেত্রে ৬ মাসের স্থলে ৪ থেকে ৫ মাসের ভেতর সেমিস্টার (ফাইনাল) পরীক্ষা শেষ করা যায় না কিনা এ বিষয়টি আমি দেখবো।’

‘তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু আনুষাঙ্গিক বিষয় থেকে যায়, যেমন-পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট। আমার জানা মতে বাংলাদেশের আর কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বেশি শিক্ষক সংকট নেই। তবে, ইতোমধ্যে ইউজিসির সাথে আমি এ বিষয়ে আলাপ করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৪-৫ বছরে কাজের থেকে অকাজ বেশি হয়েছে। ইউজিসির নিকট শিক্ষক নিয়োগসহ বাজেট বৃদ্ধির দাবি দেওয়া হয়নি। এছাড়াও পর্যাপ্ত ইকুপমেন্ট ও ল্যাব ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

উপাচার্য বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনুপাতের দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় তলানিতে। গড়ে ৪৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষক। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ১০-১২ জন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এ বিষয়ে আরও আগেই নজর দেওয়ার দরকার ছিল।’

‘দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে সঠিকভাবে আগায়নি। সিনিয়র শিক্ষকের কোনো বিকল্প নেই। তবে এই মফস্বল এলাকায় ভালো মানের সিনিয়র শিক্ষক পাওয়া দুষ্কর। তারা শেকড় গজিয়েছে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহীর মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেও শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না’, বলেন তিনি।

এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী কুয়েট, খুলনা, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাসিক বেতনের ভিত্তিতে অনলাইন ও অফলাইনে সরাসরি কিছু ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অন্যসব সমস্যার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

রাশিদুল/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়