ইউআইইউতে ‘যোগাযোগ ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন 

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটিং, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্সে উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ইটিসিসিই-২০২১) শুরু হয়েছে। 

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ভার্চুয়ালি হয়েছে। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্ট, ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, ইউকে এবং ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে। সম্মেলনের টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর আইইইই বাংলাদেশ সেকশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইইইই প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ২০২২ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাঈনুউদ্দিন হাসান রশিদ, ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড নলেজ এক্সচেঞ্জের অ্যাসোসিয়েট ডিন অধ্যাপক প্রশান্ত পিল্লাই, আইইইই ডাব্লিউআইই চেয়ার-ইলেক্ট ২০২২ অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ এবং আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. এম. মশিউল হক । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নই একটি জাতির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অর্জন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী দেশে রূপান্তর করতে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।  

বক্তারা জানান, এবছর আমেরিকা, ইউকে, সৌদিআরব, জাপান, ওমান, ইরান, ভারত, চীন মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১ দেশ থেকে ৯৫টি কম্পিউটিং, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণাপত্র থেকে শক্তিশালী রিভিউ কমিটির বাছাইয়ের পর শতকরা ২২ শতাংশ অর্থাৎ মোট ২১টি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য গ্রহীত হয়েছে। এসব গবেষণা বাংলাদেশের কম্পিউটিং, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি বিকাশের পাশাপাশি শিল্প উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী কাজে আসবে। এই বছরের সম্মেলনে ৩টি কি-নোট স্পিস ও ২টি ইনভাইট সেশন উপস্থাপন করা হবে। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে ৫টি এরিয়াতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন। 

অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।