ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থী

স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাফফায় নায়েম নাফি নামের একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নার্ভের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা মো. তারেক নূর।

বুধবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমজাদের মোড়ের এন আর ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা মো. তারেক নূর বলেন, ‘গতকাল রাতে নাফি নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ছুরিকাঘাত করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা এখন শঙ্কা মুক্ত। তবে নার্ভের উন্নত চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের দ্রুত আটক করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।’

ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শরীফ নামে এক শিক্ষার্থী এন আর ছাত্রাবাসে থাকতেন। ওই মেসে সবার নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক ছিল। রুমে নামাজ পড়ার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন হতো। শরীফের পরীক্ষা থাকায় তিনি রুমে নামাজ পড়তেন। এ নিয়ে মেসে থাকা কিছু বোর্ডারের সঙ্গে (মেসের সদস্য) তার বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে শরীফ মেস মালিকের কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সভা ডেকেছিল মেস কর্তৃপক্ষ। সেখানে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অনেকের সাথে নাফিও ছিলেন। সভার শেষ পর্যায়ে কিছু স্থানীয় ছেলে সভায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং সবাই বের হয়ে যায়। নাফি বের হতে না পারায় তাকে ধরে ফেলে। তার হাতে ও পায়ে এলোপাতাড়ি ছুরি মারে। এতে অনেক রক্ত ক্ষরণে গুরুতর আহত হন তিনি। 

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, ‌‘আহত শিক্ষার্থীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আমরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।’