বেরোবির সমাবর্তনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাখায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বেরোবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে রাখাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষোভে প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সমাবর্তনের মতো একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাজ কি? তারা চায় এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তত শিক্ষা উপদেষ্টাকে সভাপতি হিসেবে। অথচ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য হতাশার। তারা জীবনের প্রথম সমাবর্তন বয়কটের ডাক দিতে পারেন বলেও জানা গেছে।
এছাড়া, সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশনের সম্ভাব্য ফ্রি নিয়েও বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শিপন তালুকদার বলেন, “১৭ বছরের অপেক্ষার পর প্রথম সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছিলাম রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টা আমাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এমন একজনকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে যিনি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন।”
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলিমুজ্জামান আলিফ বলেন, “এটা আমাদের প্রতি অবমূল্যায়ন। প্রথম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বাড়াত। কিন্তু এখন বিষয়টি অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র মনে হচ্ছে।”
সমাবর্তন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথমে প্রধান উপদেষ্টাকে সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসেবে চেয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা একবার এই বিশ্ববিদ্যালয় এসেছে তার জন্য তিনি আসবেন না। পরে রাষ্ট্রপতি আইন উপদেষ্টাকে মনোনীত করেন। আইন উপদেষ্টাও এ বিশ্ববিদ্যালয় একবার এসেছেন বলে তিনিও আর আসতে চান না।”
তিনি বলেন, “পরে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ চেঞ্জ করে নতুন করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঠিক করা হয়েছে। এর জন্যই আমাদের এই সমাবর্তন নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পরিবর্তন করতে হয়েছে। যদি আবার চেঞ্জ করতে হয় তাহলে সমাবর্তন কবে হবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ১২তম ব্যাচের যেসব শিক্ষার্থীরা অনার্স অথবা অনার্স-মাস্টার্স উভয়ই সম্পন্ন হয়েছে, তারা রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতে পারবেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী