ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পরকীয়ার জেরে খুন হয় কিশোরগঞ্জের নবী হোসেন : পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৫ অক্টোবর ২০২০  
পরকীয়ার জেরে খুন হয় কিশোরগঞ্জের নবী হোসেন : পিবিআই

আশিক মিয়া ও মো. সুমন মিয়া

কিশোরগঞ্জে থাকা মার সঙ্গে পরকীয়ার কারণে ভৈরব থেকে চাচাকে অপহরণ করে নিয়ে এসে ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে কুমিল্লায় খুন করান সাব্বির। পরে খুনের দায় থেকে বাঁচতে লাশ ফেলে দেওয়া হয় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। পিবিআই’র তদন্তে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবী হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে।

রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও খুনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানান পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থেকে দুই ভাড়াটিয়া খুনি আশিক মিয়া (২১) ও মো. সুমন মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, গত ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা এলাকা থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পটিয়া থানা পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার হলেও পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। তদন্তে যুক্ত হয় পিবিআই। পিবিআই প্রাথমিক তদন্তে নেমে লাশের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে তার নাম ঠিকানা উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তির নাম নবী হোসেন এবং তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নে।

তিনি জানান, নানা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয়- পরকীয়া প্রেমের জের ধরে সাব্বির ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে তার চাচা নবী হোসেনকে খুন করায়। পরে খুনিরা লাশ পটিয়ায় ফেলে যায়। মূলত কিশোরগঞ্জে থাকা মার সঙ্গে চাচার পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে সাব্বির তাকে খুন করায়।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ভাড়াটিয়া দুই খুনিকে। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস।

পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, খুনিরা নবী হোসেনকে ভৈরব থেকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে কুমিল্লায় নিয়ে এসে মুখে গামছা বেঁধে ও গলা টিপে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে নবী হোসেনের পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। এরপর লাশ নিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে পটিয়ায় এসে নির্জনস্থানে সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতকরা।

দুই খুনিকে আজ রোববার (২৫ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে আনা হয়েছে। খুনের সহযোগী সাব্বিরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
 

রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়