ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতের প্রকোপে বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২১  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতের প্রকোপে বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শীতের প্রকোপের বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ। নিউমোনিয়া, কাঁশি, ঠাণ্ডাজনিত রোগীতে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এখন পরিপূর্ণ।

শনিবার রাত ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

শিশু ওয়ার্ডে সন্ধ্যা থেকে ঘুরে দেখা যায় যে, ২০ জানুয়ারি শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হয় ৫৬ জন, ২১ তারিখ ৫৮, ২২ তারিখ ৫২ ও আজ শনিবার ২৩ তারিখ রাত ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয় ৫৮ জন। আজ ৫৮ জনের মধ্যে ৪০ জন ছিল নিউমোনিয়া, কাঁশি ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার রোগী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের ফাতেমার (১) বছরের ছেলে মুস্তাকিমকে গত ২০ তারিখ নিউমোনিয়া সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সদর উপজেলার মেড্ডা সি,এ অফিসের বাসিন্দা নূপুর তার মেয়ে খাদিজা আক্তারকে (৩) মাস নিয়ে শনিবার দুপুর ২টার দিকে বাচ্চার কাঁশির সমস্যা নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার পাকশিমূল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের দানা মিয়া ১৯ তারিখ মেয়ে খাদিজাকে (২ বছরের) নিয়ে সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডা ও কাঁশির সমস্যা নিয়ে ভর্তি করান। একই উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের সুলেমা তার ছেলে ইয়ামিনকে (৬ মাস) কাঁশি ও নিউমোনিয়া রোগ নিয়ে ভর্তি করান। বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তখলা গ্রামের ইউনুস মিয়ার মেয়ে রেজিয়াকে (২ মাস) ঠাণ্ডা ও কাঁশি নিয়ে তিনদিন সন্ধানী নামক প্রাইভেট ক্লিনিকে রেখে শুক্রবার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর নেয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাধনা আক্তার তার এক মাসের শিশুপুত্র হাফিজুর রহমানকে নিয়ে চারদিন সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া সমস্যা নিয়ে আছেন। কসবা উপজেলার বিহাড়ি ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের রাবিয়া আক্তার তার ছোট্ট মেয়ে ফাইজা আক্তারকে (২ মাস) নিয়ে বৃহস্পতিবার কাঁশি ও ঠাণ্ডার সমস্যার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ফেরদৌসি বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, জানুয়ারির মাস কাঁশি, নিমোনিয়া, ঠাণ্ডার রোগীই বেশি। ডিসেম্বর মাসে ওয়ার্ডে ৩৫.৪০ জনের বেশি হয়নি। কিন্তু এই শীতের প্রকোপে ঠাণ্ডার রোগী বেড়ে গেছে। চিকিৎসার কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান। প্রত্যকটি রোগীই সেবা পাচ্ছে ঠিকমতো।

সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক রোগীর সাথে মানুষ আসে চার থেকে পাঁচজন এমনভাবে যদি প্রত্যেকটা রোগীর সাথে মানুষ আসে তাহলে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। কিন্তু রোগীর আত্মীয়-স্বজন বুঝতে চায় না। আমরাও কিছুই বলতে পারি না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শীতে একটু রোগী বেড়ে গেলেও সেবার কোন ত্রুটি থাকবে না।

রুবেল/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়