ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গ্যাসে ভর্তি কক্ষে মশার ব্যাটের স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণ : পুলিশ

ফেনী সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ৬ মার্চ ২০২১  
গ্যাসে ভর্তি কক্ষে মশার ব্যাটের স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণ : পুলিশ

ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের শফিক ম্যানসনের ৫ম তলায় গ্যাসে ভর্তি কক্ষে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটে স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার (৬ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের টিমের বরাত দিয়ে এ কথা বলেন। 

শুক্রবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের হলিক্রিসেন্ট স্কুলসংলগ্ন ভবনে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মা ও দুই মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন। 

পুলিশ সুপার বলেন, ফেনীর ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এক্সপার্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন- এখানে বোমা বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি। এরপরও বোম ডিসপোজাল ইউনিটের আরেকটা টিম আসছে, তারা বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখবেন। 

তিনি বলেন, ‘সেহেতু গ্যাসের আগুনবিহীন চুলা ওপেন ছিল। সেখান থেকে লিকেজ হতে হতে দরজা-জানালার গ্লাস বন্ধ কক্ষগুলোতে গ্যাস জমে যায়। চুলা থেকে গ্যাস বের হতে হতে কক্ষগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তখন আহত ভিকটিমদের একজন ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা মারার চেষ্টা করলে স্পার্ক থেকে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়।’ 

ফেনীর পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। গ্লাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যে দিকে গ্যাসের চাপ ছিল, সেদিকে মূলত বিস্ফোরণ হয়।’ 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জাকের হোসেন, ঢাকার ডিএমপি থেকে আগত চার সদস্যের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দলের টিম লিডার পুলিশের পরিদর্শক মোদাচ্ছের কায়সার। দুপুর ১২টার দিকে চার সদস্যের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল ফেনী এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

বিস্ফোরণে দগ্ধ মা ও দুই মেয়ের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। 

দগ্ধ মা মেহেবুন্নেসা (৪০), দুই মেয়ে ফারাহ ইসলাম (১৮) ও হাফসা ইসলামের (১৪) বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট গ্রামে। স্বামী মাহফুজুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী। মা মেহেবুন্নেসা (৪০) ও হাফসা ইসলামের (১৪) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৬০ ভাগ ঝলসে গেছে। তারা দুইজন আইসিইউতে আছেন।

দাদা আবুল কাশেম জানান, মেয়েদের লেখাপড়া করানোর জন্য এক যুগ ধরে তারা শফিক ম্যানসনের ৫ম তলার পূর্বপাশের ইউনিটে বসবাস করছেন। ফারাহ ইসলাম (১৮) ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছেন। হাফসা ইসলাম (১৪) ভবনের পাশের হলিক্রিসেন্ট স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। মেহেবুন্নেসা মেয়েদের লেখাপড়া করানোর জন্য শহরে থাকতেন।
 

সৌরভ/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়