মেঘনায় বাল্কহেড ডুবি: নিখোঁজ ২ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার দশানী বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকালে বাল্কহেডটির ইঞ্জিনরুম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. অহিদুজ্জামান।
তিনি জানান, বুধবার (৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে এমভি মক্কা-মদিনা-৩ নামের একটি বাল্কহেড মেঘনা নদীর চাঁদপুর বালু মহাল থেকে বালু ভর্তি করে। দশানী বাজার সংলগ্ন নদীতে নোঙ্গর করা অবস্থায় অতিরিক্ত বালুর চাপে তলা ফেটে পনিতে ডুবে যায় বাল্কহেডটি। এসময় চার শ্রমিকের মধ্যে দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। অন্য দুই শ্রমিক সাজু শিকদার ও মিজান হাওলাদার পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।
নিহতরা হলেন— বরগুনার তালতলীর পশ্চিম জাড়াখালী গ্রামের মো. সালাম সিকদারের ছেলে সাজু সিকদার ও মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. মিজান।
নারায়ণগঞ্জের পাগলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার দশানী রাজনের দোকান বরাবর মেঘনা নদীতে নোঙর করে বাল্কহেডটি। রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে যায়। এসময় বাল্কহেডের ভেতরে দুই শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। ছাদে ছিলেন দুজন। ডুবে যাওয়ার সময় ছাদের দুজন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাতরে তীরে উঠতে পারলেও ভেতরের দুজন আর উঠতে পারেননি।
বেঁচে যাওয়া দুজন হলেন— বরগুনার তালতলীর পশ্চিম জাড়াখালী গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. নাইম সিকদার ও একই গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার৷
পরে বাল্কহেড ও নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারের জন্য উদ্ধার অভিযান চালায় নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল। অভিযান চলাকালে দুপুর ৩টায় বাল্কহেডের স্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।পরে ভেতরের ইঞ্জিনরুম থেকে ওই দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের কমান্ডার লে. এম আসাদুজ্জামান নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ সি অ্যান্ড পি বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদের বরাত দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর নদী বন্দরের উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘মূল চ্যানেল থেকে ডুবন্ত বাল্কহেডের পর্যাপ্ত দূরত্ব থাকায় নৌযান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।’
অমরেশ/সনি
আরো পড়ুন