চালককে খুন করে পিকআপ ছিনতাই করে হেলপার : পুলিশ

পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্ক্রু ড্রাইভার ও লোহার যন্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে চালককে আব্দুল খালেককে হত্যা করে পিকআপ ছিনতাই করেন হেলপার মো.  শরীফুল ইসলাম (২৩) ও তার বন্ধুরা।

এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ শরীফুলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। শরীফুল স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু চাকমা। হত্যার ঘটনায় পিকআপ বোঝাই গার্মেন্টস মেশিনারিজ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৪ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়ার কসকা কাজির দিঘী সংলগ্ন ঝোপের মধ্যে অজ্ঞাত পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু চাকমা জানান, অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত শরীফুলকে গ্রেফতার করা হয়। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ৪ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে চালক আব্দুল খালেক পিকআপে গার্মেন্টসের বিভিন্ন মেশিন বোঝাই করে ঢাকার মিরপুর হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা করে। যাত্রাপথে মিরপুর-১ হতে হেলপার শরীফুল পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার পরিচিত একজনকে সঙ্গে নেওয়ার জন্য চালককে অনুরোধ করে। চালক অনুরোধে রাজি হলে তাকে ড্রাইভিং কেবিনে উঠানো হয়। যাত্রাপথে মেঘনা টোল প্লাজার পূর্বে পিকআপ থামিয়ে সবাই চা পান করে। সেই সুযোগে পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা আরও দুই জন অজ্ঞাত ভিকটিমের অগোচরে গাড়ির পিছনে উঠে লুকিয়ে থাকে। চা পান শেষে হেলপারের অনুরোধে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো জুস চালক খালেক খান। এরপর তারা গাড়িতে উঠে যাত্রা করেন। কিছুক্ষণ পর চালক মালেকের ঘুম পেলে শরীফুল পিকআপ রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে ঘুমিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং মালেক গাড়ি সাইড করে ঘুমিয়ে পড়ে।

তিনি আরও জানান, এরপর শরীফুলসহ চারজন চালক মালেককে হত্যা করে। লাশটি ড্রাইভিং কেবিনের হেলপার সিটের সামনের খালি জায়গায় রেখে পিকআপ ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে নির্জন স্থানে লাশ ফেলে দেয়। এরপর পিকআপ নিয়ে ঢাকার দিকে চলে যায়।