ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে, দাবি পুলিশ-ম‌্যাজিস্ট্রেটদের

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে, দাবি পুলিশ-ম‌্যাজিস্ট্রেটদের

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা ও ম‌্যাজিস্ট্রেটরা।

রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠককালে এ দাবি করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও ম‌্যাজিস্ট্রেটগণ।

বৈঠকে মিরপুর মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে।

৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো। আশা করি, ভোটের দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

নির্বাহী মেজিস্ট্রেট জাবেদ সরকার ব্যানার ও পোস্টারের আকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, কিছু কিছু পোস্টার বড় করে ছাপানো হচ্ছে। সেগুলো ব্যানার নাকি পোস্টার তা বোঝা যাচ্ছে না। কিছু কিছু এলাকায় ছোট ছোট ঘরকে নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে ইসির কাছে নির্দেশনা চান জাবেদ সরকার।

আনসারের জেলা কমান্ডেন্ট আফজাল হোসেন বলেন, দুই সিটির প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্রে আনসার ও ভিডিপি নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবে। এজন্য ৫ হাজার শটগান ও ৫০ হাজার কার্তুজ ইস্যু করতে হবে। 

গত সিটি নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এবার কতজন করে রাখা হবে তা আগে থেকে জানানোর অনুরোধ জানান আফজাল হোসেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি- অপারেশন) প্রবীর কুমার রায় বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচার চলছে। পুলিশকে যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করা হবে।

বিজিবির মেজর করিম বলেন, মানসিকভাবে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পেলেই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।

র‍্যাব-১ এর এসিপি নজরুল বলেন, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে র‌্যাব। এখন পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ইসির উপ-সচিব ফয়সাল কাদির বলেন, একেকটা এলাকায় একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ভোট চাইছে। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকি মসজিদেও ভোট চাওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল যাবে। পুলিশ বাহিনীকে এসব মালামাল নেয়ার জন্য আগে থেকেই গাড়ি বরাদ্দ রাখতে হবে। 

কাজের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রগুলো আগে থেকেই রেকি করতে বলেন ইসির উপ-সচিব। এছাড়া, ইভিএমের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রাখতে বলেন তিনি।

ইসির উপ-সচিব জানান, ভোটের দিন অনুমতি ছাড়া কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। মেয়র প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটের দিন গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, আমরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে পারি, তাহলে আমরা নিশ্চিত বলতে পারি, পয়লা ফেব্রুয়ারি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব। ঢাকা উত্তরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯টি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার সময় সব প্রার্থী প্রতিজ্ঞাও করেছেন যে, তারা আচরণবিধি মেনে চলবেন।

তিনি বলেন, সবাই বলছে, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। আর বাকি যে কয়টা দিন আছে, এ কয়দিন যদি আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে পারি তাহলে ৯৯ ভাগ সফল হব। ভোটররা যে প্রার্থীকে পছন্দ করবে, তাকেই সে ভোট দেবে।


ঢাকা/হাসিবুল/রফিক  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়