ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

'ছেলের সাথে আমরাও মাঠে থাকবো'

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
'ছেলের সাথে আমরাও মাঠে থাকবো'

বাবা গেঞ্জিটা তো দেখছো, কীভাবে মারছে! দেখছো আমাকেও মারছে, বাবা আমাকেও মেরেছে।

ছেলের পাশে হাসপাতালের বিছানায় বসে ছেড়া টি-শার্ট দেখিয়ে ইশরাক হোসেনকে এভাবেই বলছিলেন আহত ছাত্রদল নেতা রহিমের মা।

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে রোববার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল যান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

ছাত্রদল নেতাকে দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আব্দুর রহিম। সে ওয়ারী থানা ছাত্রদলের সেক্রেটারি। তাকে মারধর করে। বলেছে, ইশরাকের মিছিলে যাস কেন?’

এসময় আব্দুর রহিমের মা জানান, প্রতিপক্ষ না তার বাসায় হামলা চালিয়েছে। ছাগল ছিল, ছাগল নিয়ে গেছে।

এটা শুনে সময় ইশরাক হোসেন বলেন, এখন ছাগল চুরিতে নামছে তারা। ভোট চুরি, ছাগল চুরি!

রহিমের মাকে ইশরাক বলেন, ‘আপনি সাহস হারাবেন না। আমিও তাকে কী বলব, ওর মতো সাহসী ছেলে খুবই কম আছে। ’

পাশ থেকে একজন ইশরাক হোসেনকে জানায় রহিমের পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।

ইশরাক বলেন, ‘কোন ভয় আমরা মানবো না। কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের দমানো যাবে না।’

রহিমকে দেখিয়ে তিনি বলেন, যিনি আহত হয়েছেন, তিনি নিজেও বলতেছেন’ তিনি দমেননি।

এ সময় রহিম বলেন, ভাই ১ তারিখ কেন্দ্রে থেকে দেখিয়ে দেব।

ইশরাক বলেন, ‘এই স্পিড যেন আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সব সময় থাকে। ’

এ সময়ে রহিমের মা বলেন, ‘আমরা ভোটকেন্দ্রে থাকব ইনশাআল্লাহ। আমরা থাকবো। ছেলের সাথে আমরাও মাঠে থাকবো। কেন্দ্রে থাকবো। আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। আমার ছেলে দমায়নি, আমরাও দমাবো না।’

ইশরাক বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীদের কাছে জনগণ জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না এবং থাকবেও না। আমরা তো সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। সময়ের প্রয়োজনে জনগণ তাদের ব্যবস্থা নেবে।”

এরপর তিনি আরেকজনকে দেখতে যান। সেখানে গিয়ে বলেন, ন্যাক্কারজনকভাবে কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে । এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আহত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মনোবল হারাবেন না। সাহস রাখবেন। আপনাদের সমস্ত কিছু আমরা দেখব। রাজনীতি করলে এরকম হামলা আসবে।’

দুপুর একটার দিকে হামলার ঘটনার পর আহতরা তাৎক্ষণিকভাবে যে যেখানে পারেন, সে সেখানে চিকিৎসা নিতে চলে যান। পরে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নির্দেশনা দেন সকলকে একই হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়ার। পরে আহত কয়েকজনকে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কাকরাইল চার্চে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বিকেলে সোয়া পাঁচটার দিকে আহতদের দেখতে যান।

এর আগে দুপুরে গোপীবাগের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি প্রচারণা থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় তিন সাংবাদিক ও ৮/১০ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন। 

এর কিছু পরেই বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন আসেন ইশরাকের বাসায়। যদিও এটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল।


ঢাকা/সাওন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়