ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফরিদপুরে ১৮ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ১৫ মে ২০২১  
ফরিদপুরে ১৮ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে ডাকাতি, চাঁদাবাজী, অস্ত্রসহ ১৮ মামলার আসামি মো. খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা মাতুব্বর (৩৫) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১৫ মে) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃত খাজা সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর গ্রামের মৃত হানিফ মাতুব্বরের ছেলে।

গ্রেপ্তার হওয়া খাজার অপর দুই সহযোগী হলো— কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের সোহেল মাতুব্বর (২৫) ও মধুখালী উপজেলার ভাটি গোপালদী গ্রামের রাজু পাটোয়ারী (২৫)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া খাজার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও অস্ত্রসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনে একটি মামলায় তিনি চার বছর কারাদণ্ড ভোগ করে সাত মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পান। খাজার বিরুদ্ধে পুলিশ বর্তমানে তিনটি মামলার তদন্ত করছে। বাকি ১৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাজার সহযোগী সোহেল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজীসহ ৮টি মামলা এবং অপর সহযোগী রাজু পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।’ 

পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় খাজার জিম্মা থেকে ছিনতাই করে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি গত ১২ এপ্রিল বিকেল চারটার দিকে কানাইপুর ফজলু মিয়ার বাসার সামনে থেকে মো. পারভেজ মোল্লার (৩২) কাছ থেকে ছিনতাই করে খাজা। এ ঘটনায় পারভেজ বাদী হয়ে গত ১মে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দুই লাখ টাকা চাঁদাবাজী ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে খাজাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় খাজাকে তার দুই সহযোগীসহ শুক্রবার (১৪ মে) রাতে সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘খাজা একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার চাঁদাবাজীর শিকার কানাইপুর বাজারের প্রতিটি ব্যবসায়ী। খাজা সম্প্রতি কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি চাঁদা না দেওয়ায় তাকে বস্তার মধ্যে ভরে গুম করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।’

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া খাজা ও তার দুই সহযোগীকে জেলার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উজ্জল সিকদার/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়