ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নদীগর্ভে বিলীনের পথে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি

মাদারীপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ৩১ মে ২০২১  
নদীগর্ভে বিলীনের পথে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও বৃষ্টির কারণে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। 

উপজেলার চরহোগলপাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পড়েছে। ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে সেটি। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটি তিনবার নদীগর্ভে বিলীন হয়।

সোমবার (৩১ মে) দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে চরহোগলপাতিয়া গ্রাম। এ গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়াল খাঁ নদী। এ গ্রামটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় অবহেলিত। নেই তেমন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। দুই দিন আগে আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভেঙে পড়তে শুরু করে চরহোগলপাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাম সাইক্লোন সেন্টার। গত কয়েক দিনে গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে।  

একের পর এক আড়িয়াল খাঁর পেটে চলে গেছে গ্রামের আসাদুল বেপারি, এমদাদুল হাওলাদার, শিপন বেপারী, শহীদ বেপারী, তালেব বেপারী, চুন্নু তালুকদার, অমর হোসেন, সোবহান তালুকদার, কামাল তালুকদার, রুবেল, বেনু বেগম ও আসমা আক্তারসহ অন্তত ৫০ জনের বসতবাড়ি। 

নদীভাঙন আতঙ্কে কুদ্দুস তালুকদার, সামাদ বেপারী, হামেদ বেপারী, শহীদ বেপারী, আজগর বেপারী ও জলিল আকনসহ অর্ধশতাধিক পরিবার বসতবাড়ি দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে হোগলপাতিয়াসহ ৫টি গ্রামের মানুষ নদীভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। 

বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, চরহোগলপাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ পর্যন্ত তিনবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে বর্তমানে বিদ্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় দেখা গেছে, নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশের চটি ব্যবহার করা হয়েছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নদীভাঙনে চরহোগলপাতিয়া গ্রামটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন বলেন, ‘আড়িয়াল খাঁর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে বহুবার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্বারস্থ হয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা হবে। আর বিদ্যালয়টি আবার নতুন জায়গায় নির্মাণ করা হবে। যাতে করে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।

বেলাল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়