ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তাজউদ্দীন হাসপাতালে কোভিড শয্যার চেয়ে রোগী বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৮, ২৬ জুলাই ২০২১  
তাজউদ্দীন হাসপাতালে কোভিড শয্যার চেয়ে রোগী বেশি

হাসপাতালে কোভিড-১৯ শয্যা আছে ১০০টি। রোগী ভর্তি আছে ১২৭ জন। শয্যা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। এই চিত্র দেখা গেছে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখা যায়, করোনা রোগীর স্বজনেরা সিটের জন্য জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করছেন। হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। যার কারণে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনেরাও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও নেই নজরদারি।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. তাজউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর জন্য জেনারেল বেড আছে ১০০টি, আইসিইউ বেড আছে ৮টি, এইচডিও বেড ২টি এবং ভেন্টিলেটর আছে ১০টি। বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ১২৭ জন। অতিরিক্ত রোগীর জন্য বেডের ব্যবস্থা চলছে বলেও জানান মো. তাজউদ্দিন।

গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামানের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, লকডাউনের মধ্যে গত ৩ দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ জুলাই ৩৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৮ জনের। শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

২৪ জুলাই ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৬৯ জনের এবং মারা যায় ১ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

২৩ জুলাই ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৪৮ জনের। মারা গেছে ৫ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৬ জুলাই ৩৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫৭ জন। নতুন করে মারা গেছেন ৭ জন। শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে ৬ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। রোগী বাড়তে থাকলে আরও অক্সিজেন প্রয়োজন হবে। বর্তমানে শয্যার স্বল্পতা থাকলেও কোনো রোগী ফেরত যাচ্ছেন না বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।

রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়