ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিলেন সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুর সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১  
মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিলেন সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কিংবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নন, বীর মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানালেন উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা। এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের গোন্দারদিয়া মহল্লার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোনাউল্লাহ শেখ (৭২) নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মধুখালী ঈদগাঁ ময়দানে জানাজা শেষে স্থানীয় বনমালিদিয়াস্থ শাহ হাবিব কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৃত এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দেওয়ার জন্য ইউএনও কিংবা এসিল্যান্ড উপস্থিত ছিলেন না। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার।

বাবুল আক্তার বলেন, এর আগে তিনি কখনও কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার অনুষ্ঠানে ছিলেন না। এটি তার কাজও নয়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়ানোর অনুষ্ঠান নিয়ে মধুখালীর ইউএনও ব্যস্ত থাকায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সুপারিশে এবং ইউএনওর সম্মতিতে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার ওই গার্ড অফ অনার অনুষ্ঠানে যান।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে মধুখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার খুরশিদ আলম বলেন, এটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক। নিয়ম হচ্ছে ইউএনওকেই এ সম্মাননা দিতে হবে। ইউএনও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকলে এসিল্যান্ড এ দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু এই উপজেলায় এসিল্যান্ড থাকা সত্ত্বেও তাকে না পাঠিয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকে সবেমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া এক কর্মকর্তাকে দিয়ে এ কাজ করানো ঠিক হয়নি।

জানতে চাইলে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশীকুর রহমান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে অনুরোধ করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানের শেষে জানাজা দিতে। ওই অনুষ্ঠানের পর আমি ফুল নিয়ে য়েতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি, জানাজার পর দাফন দেওয়া হয়েছে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এ জন্য আমার করার কিছুই ছিল না।’ 

ইউএনও বলেন, ‘সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তাকে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে বলা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় গার্ড অফ অনারের সময় কীভাবে তিনি সালাম নিয়েছেন তা আমার জানা নেই।’ 

উজ্জ্বল/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়